ঢাকাFriday , 26 August 2016
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নামাংকণকারী মুহিতুল : রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

Tito
August 26, 2016 2:56 pm
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
এক সমুদ্র ইতিহাসের স্বাক্ষী ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদি আ.ফ.ম মুহিতুল ইসলামের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা মরহুমের গ্রামের বাড়ি উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। হাজারো মানুষের ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে চিরবিদায় নেন বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নামাংকণকারী এই বীরমুক্তিযোদ্ধা।
শুক্রবার সকাল ১১ টার কিছু পরেই নিজ গ্রামে পৌঁছে যায় মরহুমের মরদেহ। জুম্মার নামাজের পরপরই স্থানীয় ফুটবল মাঠে আনা হয় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদানসহ সর্বজনের শ্রদ্ধা ও শেষ জানাযার নামাজের জন্য। শুরুতেই যশোর জেলা পুলিশের একটি প্রশিক্ষিত চৌকস দল জাতীর এই শ্রেষ্ট সন্তানকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এসময় বিউগলে করুণ সুর বেঁজে ওঠে। রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে মণিরামপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সালাম গ্রহন করেন। এরপরপরই নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিয় মানুষটির জানাযার নামাজে অংশ নিতে এবং তাকে শেষ বারের মতো একনজর দেখতে তার গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মল হক এমপি, শেখ আফিলউদ্দিন এমপি, এড.মনিরুল ইসলাম এমপি, কামরুন নাহার লাইলা জলি এমপি, খুলনা জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক হারুন অর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে খুলনার সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এ কামাল হোসেন, যশোর জেলা আ’লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, নড়াইল জেলা আ.লীগের সভাপতি এড.সুভাস চন্দ্র, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, মণিরামপুর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান, জেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি বাবুল করিম বাবলু, এপিপি এড. বশির খানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এসময় সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য ও মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ উপস্থিত ছিলেন।
জানাযা শেষে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, মণিরামপুর উপজেলা আ’লীগ, নড়াইল জেলা আ’লীগ, যশোর সদর উপজেলা, সংসদ সদস্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মরদেহের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আ.ফ.ম মুহিতুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর রিসিপশনিষ্ট কাম রেসিডেন্ট পারসোনাল এ্যাসিসটেন্ট ছিলেন। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট রাতে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে বাঙ্গালী জাতীর ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের সময় তিনি ডিউটিরত ছিলেন। সেদিনের রাতে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় বাড়ির অন্যান্য কর্মকর্ত-কর্মচারীদের সাথে তিনি আহত হন। তারই কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় শিশু রাসেলকে। আর তখন থেকেই কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘকাল পরে ৯৬ সালে তিনি সেদিনের ঘটনার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেন। যা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা নামে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। যুগান্তকারী ওই মামলার রায়ে ইতিমধ্যে আসামীদের মধ্যে কয়েকজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ২ টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেক মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মার মৃত্যু হয়। সেখান থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে পাশ্ববর্তী ঝিকরগাছায় তার নামাজে জানাযা শেষে তাকে গ্রামের বাড়িতে আনা হয়।

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।