ঢাকামঙ্গলবার , ২১ এপ্রিল ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে আ’লীগ নেতা ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ : সামাজিক বয়কট

Tito
এপ্রিল ২১, ২০২০ ৪:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি।।
মণিরামপুর উপজেলার ১২নং শ্যামকূড় ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে ত্রাণের মালামাল আত্মসাতসহ বহুবিধ অভিযোগ উঠেছে। মহামারী করোনা মোকাবেলায় সরকারি বরাদ্দ ও বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি অসহায় দুস্থ্য ও কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষের জন্য যে ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দিচ্ছেন সে সব ত্রাণ সামগ্রী মেম্বার ইউনুস আলী গ্রহণ করে যথাযথ বন্টন না করে নিজের আখের গোছাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এলাকার অসহায় বঞ্চিত একাধিক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ত্রাণের মালামাল আত্মসাতসহ বহুবিধ অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত সোমবার রাতে মেম্বার ইউনুস আলী তার এলাকায় ত্রাণ বিতরনের জন্য যশোরের এক দানবীরের বরাদ্দকৃত ৩০ জনের ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করে একটি পিকআপ যোগে স্থানীয় মোমিনের বাড়িতে এনে লুকিয়ে রাখেন। মঙ্গলবার সকালে লুকিয়ে রাখা ত্রাণের একটি বস্তা স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের স্ত্রীকে দেওয়ার পর এলাকায় মেম্বারের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের গুঞ্জন শুরু হয়। স্থানীয় দিনমজুর রাশেদ ও রোস্তম এই ত্রাণ আত্মসাতের খবরটি এলাকায় প্রচার করে। তারা প্রকাশ্যে লোকজনের কাছে জানায়, গত রাতে পিকআপ যোগে ওই ত্রাণ এনে মেম্বার ইউনুস আত্মসাত করার জন্য ড্রাইভারের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে।

জানা যায়, ওই ত্রাণ পণ্যগুলো রমজান উপলক্ষ্যে অসহায়দের জন্য দেয়। কিন্তু রমজানের আগেই মেম্বার তার পছন্দের লোকের মাঝে গোপনে বিতরন করায় বিপত্তির সৃষ্টি হয়।

তবে সরকারী সকল প্রকার প্রকল্পে মেম্বারের দূর্নীতি দীর্ঘদিনের। এলাকার অনেকেই একই অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধে। অধিকাংশেরই অভিযোগ মেম্বার ইউনুস ত্রাণের মাল দেয়ার জন্য তার পছন্দের লোকদের নাম দিয়ে তালিকা করেছে। তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ না দিয়ে আত্মসাত করেছেন। অনেকেই তার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি কার্ড করাসহ সরকারী ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন।

এছাড়াও এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি, সালিশের নামে অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে অনেক ভুক্তভোগীর। তাছাড়া সামান্য একজন ইউপি মেম্বার হয়েই রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক এখন ইউনুস আলী। অন্য কোন রোজগারের উৎস্য না থাকলেও গ্রামে আলিশান বাড়িও বানিছেন তিনি। তার অত্যাচারে অনেক নিরীহ মানুষ এলাকা ছাড়াতে বাধ্য হয়েছে। এলাকার প্রতিবাদী জনতা তাই তার বিরুদ্ধে সর্বদলীয় ঐক্য গড়ে তুলেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসিসহ আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরাও তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে সামাজিক ভাবে বয়কট করেছেন বলে জানা গেছে। এসব অপকর্মের জন্য এলাকার প্রতিবাদী জনগন ইতিপূর্বে তাকে স্থানীয় বাজারে গণধোলাই দিয়েছিলো বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ইউপি সদস্য ইউনুস আলীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে ব্যস্ত আছি বলে ফোন রেখে দেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।