মণিরামপুরের মশ্বিমনগরে কপোতাক্ষ পাড় সংলগ্ন স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, মহাশ্মশান, বাজার ও বাড়ি ঘরসহ প্রায় এক কিলোমিটার নদীর তীলবর্তী স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে বালু দস্যুদের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে। স্থানীয় ভাবে একাধিকবার এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারীদের নিষেধ করে উল্টো হুমকির মুখে পড়ছেন এলাকাবাসি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মশ্বিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, যশোরের মেসার্স আশরাফুল আলম নামের এক প্রভাবশালী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষেদের পাশ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ের মাঠ উচুকরন প্রকল্পের কাজ করছেন। ওই মাঠ উঁচু করনের জন্য ইউপি ভবনের সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদ হতে বালু উত্তলনের জন্য ভারী মেশিন ব্যবহার করছে। যাতে করে ইউপি ভবন, বিদ্যালয় ভবন, পারখাজুরা বাজাসহ প্রায় এক কিলোমিটার নদের তীরবর্তী বসতি ও অন্যান্য স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে এ মেশিন অপসারন ও ঝুঁকিপূর্ণ এক কিলোমিটার তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মানের জন্য আবেদন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
তিনি জানান, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুফল এখনও মেলেনি।
এবিষয়ে জানতে মণিরামপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।