ঢাকাশনিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

১৭ বছর পর মনিরামপুর উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি : নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ

Tito
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১ ২:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ আবু বক্কার সিদ্দীক, মনিরামপুর থেকে।। 

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে ১৭ বছর পর মনিরামপুর উপজেলা যুবদলের ৪ সদস্য ও পৌর যুবদলের ২ সদস্য বিশিষ্ঠ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদকে আহ্বায়ক এবং মোঃ মুক্তার হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, মোঃ ফরহাদ হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক ও মোঃ সাইদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

অপরদিকে পৌর ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কমিটির সভাপতি মোঃ আব্বাস আলীকে আহ্বায়ক ও মোঃ বিল্লাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে পৌর যুবদলের কমিটি ঘোষনা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

দীর্ঘদিন পরে কমিটি ঘোষনা হলেও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না তাদের। বর্তমান কমিটির ব্যাপারে সাধারন নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবী আমরা দীর্ঘদিন রাজপথে সরকার বিরোধী ও কেন্দ্র ঘোষিত সকল আন্দোলন সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। যোগ্যদের রেখে কিভাবে একজন অযোগ্য ছেলেকে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বানিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতারা তা আমাদের বুজে আসছে না। অপর আরএক কর্মী দাবী করেন বর্তমান উপজেলা কমিটি যা হবে তা দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম তো দূরের কথা সদস্য সচিব যে হয়েছে সে জাতীয়তাবাদী উচ্চারণই করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন সদস্য সচিব প্রার্থী মোঃ রাসেল হুসাইন।

উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ ২০১২ সালে ছাত্রদলের আংশিক কমিটির সভাপতি ছিলেন এ ছাড়াও তিনি তার যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে ছাত্র সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবী করেন তিনি। বর্তমানে তিনি নতুনদের জন্য জায়গা করে দিয়ে যুবদলে এসেছেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটি তার কষ্টের যথার্থ মূল্যাণ করেছেন বলে দাবী করেন তিনি।

সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মুক্তার হোসেন বলেন ১৯৯৬ সালের হাসিনা হঠাও আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছিলাম এবং ২০০০সালে জন নিরাপত্তা কালো আইনে দীর্ঘদিন কারাভোগ করি। ১৯৯৭ সালে ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক, ২০০৩ সালে পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক, একই বছরে থানা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ২০১১ সালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করি এবং একই বছরে ২০১২ সালে ছাত্রদলের কমিটির পৌর শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং দলের দুঃসময়ে ছাত্র নেতৃত্ব দিয়েছি। বর্তমান কমিটি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইদুল ইসলামকে তো আমি চিনিনা সে কি ভাবে এতবড় দায়িত্ব পেলো তা আমার জানা নাই। তবে এমন জুনিয়র ছেলে এত বড় দায়িত্ব কিভাবে পালন করবে সেটাই চিন্তার ব্যাপার।

যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, বিগত দিনে সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গেয়ে অনেক হামলা মামলার শিকার হয়েছে। আর্থিক ভাবেও অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। বর্তমান কমিটির ব্যাপারে তিনি জানান, সদস্য সচিব এমন একজনকে দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি যে, তার কথা নেতা-কর্মীরা শুনবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।

পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ আব্বাস আলী বলেন, আমি বুঝতে শেখার পর থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি করি। আমি পৌর শাখার যুগ্ম আহবায়ক, আহবায়ক ১বার, পরবর্তীতে ২০০৩ সালের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা যারা দীর্ঘদিন রাজপথে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি তাদেরকে বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে মানবপাচার কারী কিছু দালাল টাকার বিনিময়ে কমিটি কিনে এনেছে। যাদের নামে কোন মামলা নেই, যারা কখনো হামলার শিকার হয়নি তারা কিভাবে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র ভাইচ চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, আমি যুবদল একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা যাকে যোগ্য মনে করেছেন তাকে সেই পদ দিয়েছেন। তবে আমি মনে করি বর্তমান কমিটির হাত ধরে মনিরামপুর উপজেলা যুবদল সুসংগঠিত হবে এবং সরকার বিরোধী সকল প্রগ্রামে তারা সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করবে। উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ নিস্তার ফারুক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন রিসিভ হয়নি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।