ঢাকাশনিবার , ২৯ অক্টোবর ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় সন্তানসহ স্ত্রীকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

nurul
অক্টোবর ২৯, ২০২২ ৫:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুর প্রতিনিধি।।
মণিরামপুরে স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় সন্তানসহ স্ত্রীকে মারপিটের পর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু বাড়ি থেকে বের করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। তাড়িয়ে দেওয়ার পর স্ত্রীর কাছ থেকে ডিভোর্স নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর এ অভিযোগ উঠেছে মণিরামপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর (সদর দপ্তর) জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (আইটি) ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে। স্বামী সংসার ফিরে পেতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্যাতনের শিকার স্ত্রী বৃহস্পতিবার আরইবির চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি গ্রামের মীর এনায়েত হোসেনের ছেলে ২ সন্তানের জনক ইমাম হোসেন কয়েক বছর আগে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মণিরামপুর সদর দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি স্ত্রী এবং ২ সন্তান নিয়ে মনিরামপুর পৌরশহরে একটি বাসাভাড়া নিয়ে থাকতেন। পরে ইমামকে বদলি করা হয় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে। কিন্তু স্ত্রী সন্তানদের দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি পাটকেলঘাটা বাজারে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে চাকুরির সুবাদে নাজমা খাতুন মুক্তি নামে এক গৃহবধুর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরই মধ্যে অফিসের এক দূর্নীতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইমামকে বদলি করা হয় মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে। সেখানে যোগদান করার পর ইমাম তার প্রথম স্ত্রী নাসিমা আফরিন আদুরিকে তালাক দিয়ে নাজমা খাতুন মুক্তিকে বিয়ে করেন ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। পরে তিনি সেখান থেকে বদলি হয়ে মনিরামপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর পৌরশহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ছোট স্ত্রী ও তার আগেরঘরের চার বছর বয়সী ছেলে আদ্রিবকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে কিছুদিন যেতে না যেতেই ইমাম হোসেন সদর দপ্তরের প্রশাসন বিভাগের এক নারী কর্মীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে নাজমা খাতুন পরকীয়া থেকে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। নাজমা খাতুনের অভিযোগ ইমাম হোসেন তাকে তালাক দেওয়ার জন্য ব্যাপক চাপপ্রয়োগ করেন। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় ইমাম হোসেন তাকে প্রায়ই মারপিট করেন। এমনকি তার আগের ঘরের ছোট ছেলেকে হত্যা করারও হুমকি দেন সে। অভিযোগ রয়েছে তালাক না দেওয়ায় ইমাম হোসেন গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে ছোট স্ত্রী নাজমাকে মারপিটের পর ছুরি দিয়ে হাত-পায়ে কুপিয়ে রক্তার্থ করে ছোট ছেলেসহ বাড়ি থেকে বরে করে দেয়। পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। বর্তমান তিনি পাটকেলঘাটায় একটি বাসাভাড়া নিয়ে সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। এ দিকে নাজমা খাতুন কোন উপায়ন্ত না পেয়ে একাধিক বিয়ের নায়ক স্বামী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)’র চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন গত বৃহস্পতিবার। অবশ্য এ ব্যাপারে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ইমাম হোসেন সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’র সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী মনোহর কুমার বিশ্বাস জানান, এ ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ ইতিমধ্যে তার দপ্তরে এসেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে নাজমা খাতুনের অভিযোগ সম্পর্কে আরইবি থেকে এখনও কোন নির্দেশনা তিনি পাননি বলে দাবি করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।