ঢাকাসোমবার , ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিনা খরচে মাসে ১০ হাজার শ্রমিক নেবে সৌদি

admin
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৫ ২:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, হাউসকিপিং, ড্রাইভিং, কন্সট্রাকশনসহ ১০টি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে প্রতিমাসে ১০ হাজার করে কর্মী নেবে সৌদি আরব। এক্ষেত্রে তাদের অভিভাসন ব্যয়, ভিসা খরচ, যাওয়া-আসার টিকেট খরচ সম্পূর্ণ বহন করবে সৌদি কোম্পানিগুলো। সর্বনিম্ন বেতন হবে ৩০ হাজার টাকা।সোমবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে সৌদি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। 22এসময় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, সৌদি সরকার বিশ্বের সব দেশ থেকে তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে প্রচুর সংখ্যক লোক নেয়। এখন তারা বাংলাদেশে থেকে প্রতিমাসে তারা ১০ হাজার কর্মী (পুরুষ ও নারী) নেবে। এ শ্রমিকদের কমপক্ষে ১৫শ রিয়াল করে বেতন দেওয়ার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি সরকারের সঙ্গে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে চাই। অনেক চেষ্টার পর চালু করা শ্রম বাজার কোনো কারণে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাক এটি চাই না। যেসব কর্মী যাবে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠানো হবে; প্রয়োজনে সৌদি সরকারও প্রশিক্ষণ কাজে সহায়তা করবে। সৌদির শ্রমবাজার চালু হলে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও শ্রমবাজার উম্মুক্ত হবে বলে জানান তিনি। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সৌদিতে সব লোকই ব্যক্তিগতভাবে যাবে। সৌদির নিয়োগকারী রিক্রুটিং এজেন্সি অ্যাম্বাসির মাধ্যমে আমাদের ডিমান্ড লেটার পাঠাবে। ডিমান্ড অনুযায়ী আমরা ক্লিয়ারেন্স দিলে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি লোক পাঠাবে। সৌদিতে যেতে কর্মীদের খরচের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা কর্মীদের নিকট থেকে এক টাকাও নিতে দেব না। সৌদি আরবে কর্মী যেতে কোনো টাকা পয়সা লাগবে না। শুধু পাসপোর্টসহ অভ্যন্তরীণ আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আল ফাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ থেকে কন্সট্রাকশনসহ সব খাতে লোক নেওয়া হবে। কর্মীর যাওয়ার খরচও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বহন করবে। তিনি আরও বলেন, গত বছর সারাবিশ্ব থেকে আমাদের সরকার ১৩ লাখ লোক নিয়েছে। এ বছরও সে পরিমাণ লোকের চাহিদা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সোমবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া বৈঠক ১০টায় শেষ হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার, জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জ্যোতির্ময় দত্ত, মো. নুরুল ইসলামসহ প্রবাসী কল্যাণ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সৌদি আরবের পক্ষে শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আলফাহিদ ছাড়াও দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিলাটেরাল রিলেশন্সের ডিজি মোহাম্মদ আল শারেখ, ইমপ্লয়ী সুপারবিশনের ডিজি আব্দুল আজিজ আল হার্বসহ দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত রোববার দুপুর ১২টায় ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল ৪ দিনের সফরে ঢাকায় আসে। এ সফরে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঘুরে দেখার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার। দেশটিতে ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মরত। ২০০৮ সালে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সৌদি সরকার। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের দেশটিতে সফরের পর বাংলাদেশের জন্য শ্রম বাজার খুলে দেয় তারা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।