ঢাকাশনিবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কারণে ধ্বংস হতে চলেছে মণিরামপুরে মাদ্রাসাটি

admin
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫ ২:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুরের বাসুদেবপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস হতে চলেছে। বর্তমানে তার কারণে শিক্ষকরা মাদ্রাসায় যেতে ভয় পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে এই সভাপতির হাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ওই সভাপতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলাও হয়েছে। সভাপতির এসব অপকর্মের বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগে জানা যায়, মণিরামপুরের বাসুদেবপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রায়হান উদ্দিনের বিরুদ্ধে রয়েছে এন্তার অভিযোগ। সভাপতি মাদ্রাসা ফান্ডের সরকারি ও বেসরকারি অনুদানের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত, মাদ্রাসার জমিতে লাগানো গাছ কেটে বিক্রি করা, শিক্ষক নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সম্প্রতি মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক বরেন্দ্র কৃষ্ণ অধিকারীকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন সভাপতি রায়হান উদ্দিন। শুধু তাই নয়, সময়-অসময়ে মাদ্রাসায় ঢুকে শিক্ষার্থীদের সামনে সুপারসহ শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচারণ করেন। কেউ তার এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলে তাকে পেটুয়া বাহিনী দিয়ে হুমকি ধামকি দেন। যে কারণে কেউ এই দুর্বৃত্তয়ান সভাপতির বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়না। সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারি সভাপতি রায়হান উদ্দিন ও তার ছেলে ফেরদৌসকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক বরেন্দ্র কৃষ্ণ অধিকারী। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বরেন্দ্র কৃষ্ণ অধিকারী জানান, সভাপতি রায়হান উদ্দিন প্রায়ই শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এ ধরনের ঘটনা ২০১২ সালে একাধিক বার ঘটিয়েছেন। মাদ্রাসার জেসমিন নাহার নামে এক শিক্ষিকাও তার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে ওই শিক্ষিকা থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হন। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত কোন বিচার পাননি। একের পর এক অপকর্মের বিচার না হওয়ায় সভাপতি রায়হান উদ্দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে মাদ্রাসার সভাপতি রায়হান উদ্দিন বলেন, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার শিক্ষানুরাগী সদস্য মহির উদ্দিন খান জানান, আমি কয়েক মাস হয়েছে পরিচালনা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। সভাপতির অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি রায়হান উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণে মাদ্রাসার সকল হিসাব তার কাছে। তিনি দীর্ঘদিন মাদ্রাসার আয়-ব্যায়ের কোন হিসাব দেন না। কেউ যদি মাদ্রাসার হিসাব চায়, তাহলে তাকে সরিয়ে দেন। গত ৮ জানুয়ারি মাদ্রাসায় একটি মিটিং এ সভাপতি সুপারের —-বাচ্চা—-বাচ্চা বলে গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় কয়েকজন শিক্ষক সভাপতিকে নিবৃত্ত করতে গেলে শিক্ষক ওহেদ, সালামকে মারপিট ও লাঞ্ছিত করেন। পরে অফিস রুমে বরেন্দ্র কৃষ্ণ অধিকারীকে মারপিট করেন সভাপতি। এসময় সভাপতি রায়হান উদ্দিননের ছেলে ফেরদৌস এসে এক শিক্ষিকাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। শুধু তাই নয়, সভাপতি মাদ্রাসা চলাকালে ক্লাস রুমে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের এ, বি, সি, ডি পড়তে বলে। তার অত্যাচারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের সুপার হারুনার রশিদ বলেন, সভাপতি একজন অশিক্ষিত লোক। তার মনে যা চাই তাই তিনি করেন। তার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ থেকে তারা উত্তোরণ চান বলে জানান। জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আসাদুল হক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত হবে। তদন্তে দোষি হলে তার বিচার হবে।
– See more at: http://www.1newsbd.com/2015/02/14/52675#sthash.dV38niMe.dpuf

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।