রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া ও টেকনিক্যাল মোড় থেকে গভীর গুলিবিদ্ধ চার যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে কথিত ক্রসফায়ারে একজন মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও বাকিরা গণপিটুনীতে মারা গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, ক্রসফায়ারে নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম ওয়াদুদ ৩৫। তিনি মিরপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলেরসভাপতি। তাকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ককটেল হামলার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গতকাল রাত দেড়টার দিকে মিরপুরের কাজীপাড়ার বাইশবাড়ি এলাকায় অজ্ঞাত তিন যুবককে পেট্রল বোমাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় জনতা। স্থানীয় লোকজন ওই তিন যুবককে গণপিটুনী দেয়। খবর পেয়ে মিরপুর থানার এসআই মাসুদ পারভেজ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন যুবককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন যবুককে মৃত ঘোষণা করেন। এসআই মাসুদ পারভেজ জানান, গণপিটুনীতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে কিনা তা সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এদিকে হাসপাতাল সূত্র জানায়, তিন যুবকের বুকে, মাথায় একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তাদের সারা শরীরে জখমের চিহ্নও রয়েছে। তবে মিরপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, কারা গুলি করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওসি সালাউদ্দিন বলেন, গতকাল সকালে মিপুরের সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়ের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নামে একটি বাসে ককটেল হামলা চালানোর সময় হাতেনাতে ওয়াদুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে মিরপুর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি পারভেজ ওরফে পিস্তল পারভেজ ও রুবেল নামে একজনের নির্দেশে বাসে ককটেল হামলা চালিয়েছিল। পরে ওয়াদুদকে নিয়ে রাতে পারভেজ ও তার সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালানো হয়। টেকনিক্যাল মোড়ের কাছে কল্যাণপুর হাউজিংয়ের কাছে গেলে ওয়াদুদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ক্রসফায়ারে পরে সহযোগীদের গুলিতেই ওয়াদুদ মারা যায়।