ঢাকাসোমবার , ২ মার্চ ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরের অধিকাংশ শিা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কে সঠিক পাঠদান নেই: শিার্থীদের ভাল ফলাফলের আশায় প্রাইভেট ও কোচিং এর জন্য অভিভাবকদের গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা

admin
মার্চ ২, ২০১৫ ৯:১৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার অধিকাংশ শিা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কে সঠিকভাবে পাঠদান না হওয়ার কারনে শিার্থীরা বাধ্য হয়ে প্রাইভেট পড়া ও কোচিং এর দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এমন সুযোগে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বার করেই সরকারের দেয়া বেতন-ভাতার ল ল টাকা ভোগ করে চলেছেন এক শ্রেণীর শিকরা। আর ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ায় ভালো ফলাফল এimages-studryবং ভবিষতের আশায় প্রাইভেট ও কোচিং এর জন্য অভিভাবকদের গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। মণিরামপুর উপজেলার অভিভাবক মতিয়ার রহমান, কাজী শামিম, নুরুল হক, আলমগীর হোসেন, আব্দুল কাদের, পরিতোষ কুমার, রণজিৎ দাশ, কাশেম মোড়ল, জাকির হোসেন, দিদার আলী, সুমন আকবর, জিয়াউর রহমান, মোসলেম উদ্দিন, রমেন মন্ডল, গোলাম রসুল এবং ইজিবাইক চালক আব্দুর রশিদ, জুট মিল শ্রমিক শের আলীসহ হাজারও অভিভাবকদের অভিযোগ বেশির ভাগ শিা প্রতিষ্ঠানে সঠিকভাবে পাঠদান দেয়া হয়না। ফলে ভালো রেজাল্ট এবং ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রাইভেট ও কোচিং করাতে তাদের গুনতে হয় হাজার হাজার টাকা। এর মধ্যে নিম্ম ও মধ্যেবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা সংসারের খরচ চালিয়ে প্রাইভেট ও কোচিং শিকদের টাকা দেওয়ার সময় হিমশিম খেতে হয়। বিভিন্ন শিা-প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শিার্থীদের তারা বলে থাকেন আমাদের কাছে প্রাইভেট বা কোচিং না করলে পরিার সময় নম্বর কম দেয়া হবে। এরপর আবার পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করতে ছেলে-মেয়েদের বাড়তি বায়না মেটাতে মোবাইল ফোনসহ আরও অনেক কিছুর জন্য স্বল্প আয়ের অভিভাবকদের বাকরুদ্ধ হয়ে তির শিকার হতে হয়। শিার্থীদের প্রাইভেট ও কোচিং করার সুযোগটা শিা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক কাজে লাগিয়ে থাকেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে শিা প্রতিষ্ঠান গুলোতে তদারকি না থাকায় এক শ্রেণীর শিকরা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শুধুমাত্র হাজিরা খাতায় স্বার করলেই তাদের আর কোন সমস্যা থাকে না। মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিা অফিস সূত্রে জানাযায়, এ উপজেলায় দু’টি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১২১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭০ টি মাদ্রাসা এবং ১৬ টি কলেজ রয়েছে। অজ্ঞাত কারনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু’একটিতে কোন রকম তদারকি করলেও বাকী প্রতিষ্ঠান গুলোতে তদারকি নেয় বললেই চলে। আর প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য অধিকাংশ েেত্র ব্যাক্তি ও দলীয় করণসহ অযোগ্য ব্যাক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করার কারনে শিা-প্রতিষ্ঠান মূখি তাদের দেখা মেলে না বললেও চলে। পাশাপাশি শিকসহ অন্যান্য পদে নিয়োগের সময় কি হয়ে থাকে তা কারর অজানা নেই। তবে এসব েেত্র পতিবাদ করার জন্য কেউ মূখ খোলার চেষ্টা করলে তাকে পড়তে হয় বিভিন্ন বিপদে। আর এ সকল অভিযোগ এ উপজেলার সচেতন মহলসহ অভিভাবকদের। অভিভাবক কাশেম মোড়ল জানান, আমার মেয়েটি আগামীতে এস,এস,সি পরীা দিবে, কিন্তু আমি আর পারছিনা ভ্যান চালিয়ে ৩/৪ জন প্রাইভেট শিকের টাকা দিতে। ব্যবসায়ী মশিয়ার রহমান বলেন, আমার ছেলে আগামীতে জে,এস,সি পরীা দিবে, কিন্তু আমার টাকা আছে তাই প্রাইভেট পড়ানোসহ সন্তানের সকল চাওয়া আমি পূরণ করতে সম। তবে যারা অসহায় অভিভাবক তাদের
সন্তানদের আবদার কিভাবে পূরণ করবে বলে তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেন। চাকুরিজীবি অভিভাবক মোসলেম হায়দার বলেন, আজ শিা-প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিকদের যে দশা সে েেত্র অভিভাবকরা যদি তাদের ছেলে-মেয়েদের প্রাইভেট ও কোচিং না করাতো তাহলে পরীার সময় ফলাফল হতো জিরো। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক জানান, যারা ব্যাক্তি প্রভাব এবং অন্যের মতাবলে চলে তাদের দ্বারা শিা প্রতিষ্টানের শ্রেণী কে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। সে েেত্র আদর্শবান শিকদের সবকিছু হজম করে ধর্য্য ধারন করতে হয় বলে তারা জানান। ফলে এ উপজেলার সচেতন মহল এবং অভিভাবকদের জোর দাবী শিা-প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কে সঠিকভাবে পাঠদান প্রদানে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনসহ শ্রেণী কে পরিপূর্ণ পাঠদানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।