ঢাকাসোমবার , ২৩ মার্চ ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে আওয়ামীলীগ দলীয় এক অধ্যাপককে গোপনে বরখাস্তের তোড়জোড় চলায় লিগ্যাল নোটিশ প্রদান

admin
মার্চ ২৩, ২০১৫ ৩:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আওয়ামীলীগ দলীয় এক অধ্যাপককে মাদরাসার শিক্ষকতা থেকে বরখাস্ত করার তোড়জোড় চলছে। সংশ্লিষ্টরা বেসরকারী চাকুরী বিধি তোয়াক্কা না করেই এই অধ্যাপককে চাকুরীচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছেন। ভুক্তভোগী এই শিক্ষক হলেন মণিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের এরফান আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি তার চাকুরী রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন। জানাযায়, হাসাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফসার উদ্দিন দফাদারের পুত্র এরফান আহমেদ সিদ্দিকী। ইং ০১/১০/১৯৮৯ সাল থেকে কেশবপুর দারুল উলুম মহিলা ফাযিল ডিগ্রী মাদরাসায় চাকুরী করে আসছেন। মাদরাসার অধ্যক্ষের (ভারপ্রাপ্ত) সঙ্গে তার বনিবনা নেই। কারণ হিসেবে জানগেছে, অধ্যক্ষের (ভারপ্রাপ্ত) বিভিন্নমুখি অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদ এরফান আহমেদ সিদ্দিকী করে থাকেন। এ কারনে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিবাদী এই অধ্যাপককে চাকুরীচ্যুত করার আয়োজন করা হয়েছে। সুত্রমতে, শারীরিক অসুস্থতার কারনে ঢাকায় চিকিৎসা করানোর জন্য এরফান আহমেদ সিদ্দিকী চাকুরী বিধি মোতাবেক বিগত ১৭/০৫/১৪ তারিখে মাদরাসা থেকে ০৩ মাসের চিকিৎসার জন্য ছুটি নেন। এই ছুটি কালিন তিনি বেতন ভাতাও গ্রহণ করেছেন। মাদরাসার ষড়যন্ত্রকারীরা এই ইস্যুকে কাজে লাগানোর জন্য বিগত ১০/০৬/১৪ তারিখে অধ্যাপককে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) শোকজ করেন। অধ্যাপক বিধি মোতবেক ১৮/০৬/১৪ তারিখে এর জবাব দাখিল করেন। এরপরও ২৯/০৬/১৪ তারিখে মাদরাসার সভাপতি বিধি উপেক্ষা করে সভাপতি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকারের ১০ টি অভিযোগ আনা হয়। অধ্যাপক জানান, এ সকল অভিযোগ কাল্পনিক ও মনগড়া হওয়ায় তিনি তার জবাব ৬/০৮/১৪ তারিখে প্রদান করেন। এরপর তাকে ২৪/১২/১৪ তারিখে পত্র দিয়ে ৭/০১/১৫ তারিখে তদন্ত কমিটির নিকট হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু ওই দিন তাকে উচ্চতর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ থাকায় তিনি তদন্ত কমিটির পরিবর্তে আদালতে হাজির হন। এ বিষয়টি তিনি তদন্ত কমিটিকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। জানাগেছে, গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষনা পূর্বক পত্র দ্বারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অবহিত করার নিয়ম থাকলেও অধ্যাপকের বেলায় এই নিয়ম তোয়াক্কা করা হয়নি। এছাড়া তদন্ত কমিটিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে পদাধিকার বলে আহবায়ক করার নিয়ম থাকলেও তা না করে তাকে শুধুমাত্র কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এদিকে অধ্যাপকের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় রেজিষ্ট্রি ডাক যোগে একাধিকবার শোকজ বা তদন্ত কমিটির নিকট হাজির হওয়ার পত্র দেওয়ার বিধি থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা অমান্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সূত্র মতে, ইসলামীLigal Notice.jpeg বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধি মোতাবেক ১৩.১(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আতœপক্ষকে যুক্তিসঙ্গত সময় প্রদান করা হয়নি বলে অধ্যাপক জানান। যে কারনে অধ্যাপক ১০/০৩/১৫ তারিখে পূন সময়ের প্রার্থনা করে কর্তৃপক্ষকে পত্র দিলেও তা উপেক্ষা করে গোপনে ৩০/০৩/১৫ তারিখের গভর্ণিং বডির সভায় তাকে বরখাস্ত করার গোপন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ খবর বিভিন্নভাবে পাওয়ার পর অধ্যাপক এরফান আহমেদ সিদ্দিকী ১৫/০৩/১৫ তারিখে তার আইনজীবির মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পত্র প্রেরণ করেন এবং পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করেন। সুত্রমতে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধিতে বলা আছে, কোন শিক্ষক ও কর্মচারী যদি গুরুদন্ডের মত কোন অপরাধ না করে, তবে তাকে অহেতুক সাময়িক বরখাস্ত করা যাবে না। উক্ত বিধিতে আরও বলা আছে সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন কোন শিক্ষক ও কর্মচারী কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। এখানে কর্মস্থল বলতে বুঝায় প্রতিদিন ওই শিক্ষক ও কর্মচারী যে স্থান হতে প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতেন সেটাই তার কর্মস্থল। অথচ অভিযোগ নামার আদেশে বলা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত থাকা কালীন সকাল ১০.০০ ঘটিকা হতে বিকাল ৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত মাদরাসায় থাকতে হবে এটা গভর্ণিং বডির অযৌত্তিক আদেশ। এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতে বলা আছে যে, কোন শিক্ষক ও কর্মচারীকে পূর্ণ বরখাস্ত করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব অনুমতি ছাড়া পূর্ণ বরখাস্ত করা যাবে না। জানাযায়,এই লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে তিনি সংশ্লিষ্ঠদের বেসরকারী চাকুরী বিধি লঙ্ঘন না করার অনুরোধ করেছেন। এ ব্যাপারে জানার জন্য তদন্ত সাব কমিটির আহবায়ক নিজাম উদ্দিনের নিকট তার ব্যবহৃত ০১১৯৭-১৮১৯৪৬ নম্বরের মোবাইলে বারংবার রিং করা হলেও মোবাইল রিসিভ করা হয়নি। ফলে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।