মণিরামপুরের পৌর মেয়র ও থানা বিএনপি’র সভাপতি শহীদ ইকবালকে হুকুমের আসামী করে জামায়াত-বিএনপির মোট ৩১ জনকে অভিযুক্ত করে কৃষকলীগ নেতা শফিকামাল হত্যা মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিল করেছে মণিরামপুর থানা পুলিশ। দীর্ঘ ১৪ মাস পাঁচ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুণঃপুণঃ তদন্ত করে সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই সেরাজুল ইসলাম ২৮শে ফেব্রুয়ারী আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন। মাললার ১ নং আসামী খেদাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি জিএম ওমর ফারুক মৃত্যু বরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতির সুপারিশ করেন এই তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে উপজেলার কাশিপুর গ্রামের যুবদল নেতা ১৫ মামলার আসামী মেসবাউল ইসলাম চন্টু,চাঁদপুর-মাঝিয়ালী গ্রামের আলম মেম্বর,মাষ্টার শামসুজ্জামান,ইউসুফ,সাহেব আলী,রুহুল আমিন,আনোয়ার, উজ্জল,রিপন,শফিকুল,শহিদ মেম্বর,হারুন-অর-রশীদ ও আ.কুদ্দুস,শাহপুর গ্রামের শাহজাহান কবির,হালসা গ্রামের হালিম ও মওদুদ,তেঁতুলিয়ার মানজুর,উত্তর লাউড়ী গ্রামের আনিচুর ও হাফিজুর। কাশিপুর গ্রামের তরিকুল,রাজু,ইউসুফ, রেজাউল,কুতুব উদ্দীন,টুটুল, আকবর, চঞ্চল,পরশ,সবুজ ও আরিফ। এদের মধ্যে মেসবাউল ইসলাম চন্টুর ক্ষত-বিক্ষত লাশ বৃহস্পতিবার ভোরে যশোরের বারিনগর রেল রাস্তার উপর থেকে উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। এই নিয়ে শফিকামাল হত্যা মামলার অন্যতম দুই আসামী ইতিমধ্যে পৃথিবী ছেড়েছে। এদিকে শফি হত্যা মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিলের ব্যাপারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তার পুত্র মামুন অর রশিদ জুয়েল। তিনি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,পুলিশ আমার বাবার হত্যাকান্ড সম্পর্কে আদালতে যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তাতে আমি খুশি। এরা আমার বাবাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি ও আমার পরিবার আদালতের মাধ্যমে এদের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি। উল্লেখ্য,২০১৩ সালের ২৬শে ডিসেম্বর দুপুরে ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী খান টিপু সুলতানের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে নিজ এলাকা গরীবপুরে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন যশোর জেলা কৃষকলীগ নেতা শফি কামাল।