ঢাকামঙ্গলবার , ২৮ এপ্রিল ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে নিয়োগ বাণিজ্য ঠেকাতে ম্যানেজিং কমিটির ৭ সদস্যদের পদত্যাগ

admin
এপ্রিল ২৮, ২০১৫ ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মনিরামপুরে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য ঠেকাতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির ৭ সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেছেন। উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কপালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। পদত্যাগ পত্র যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে বলে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন।doc
জানাযায়, সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সে মোতাবেক আগামী কিছুদিনের মধ্যে নিয়োগ বোর্ড হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যকে পাশ কাটিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি পরিমল কুমার ঘোষ একাই প্রধান শিক্ষক পদে একই উপজেলার কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জনৈক এক শিক্ষককে ও সহকারী শিক্ষক পদে অন্য আর একজনকে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেন। এক পর্যায় টাকার হিসাব জানতে চান ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। বিদ্যালয় ফান্ডে নিয়োগের টাকা জমা দেয়ার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা চাপ প্রয়োগ করলে বিদ্যালয় সভাপতি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সদস্যদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টি আঁচ করতে পেরে নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করতে ম্যানেজিং কমিটি থেকে সভাপতি পরিমল ঘোষ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ফাতেমা খাতুন ছাড়া বাকী ৭ সদস্য পদত্যাগ করেন। গত ১৮ এপ্রিল বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বরাবর একযোগে পদত্যাগকারীরা হলেন অভিভাবক সদস্য বাবু শিবুপদ মন্ডল, মিনু মন্ডল, রফিকুল ইসলাম সরদার, আনোয়ার হোসেন এবং শিক্ষক প্রতিনিধি গণেশ চন্দ্র বিশ্বাস, আজিজুর রহমান সরদার, সালেহা বেগম। ২২ এপ্রিল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ পত্র যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে প্রেরন করেছেন বলে তিনি জানান। স্থানীয় কালিপদ মন্ডল, ইউপি সদস্য বাবু হরেন্দ্রনাথ মন্ডল, অত্র বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বাবু সুকুমার মন্ডল ও সমাজ সেবক মৃনাল কান্তি ভঞ্জু সহ অনেকেই বলেন, “আমরা টাকা পয়সা চাই না, আমরা চাই একজন দক্ষ, মেধা সম্পন্ন শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুষ্ঠু পরিবেশ”। এ জন্য শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক মহল ও এলাকার সুধী জনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন। এ ব্যপারে বিদ্যালয় সভাপতির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বাীকার করে বলেন কারো কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়নি, টাকা লেনদেন হবে পরে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, পদত্যাগ পত্রের কপি পেয়েছি কিন্তু তা গ্রহনের একতিয়ার যশোর শিক্ষা বোর্ডের।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।