ঢাকারবিবার , ৩ মে ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুরে ধানের বাজার মূল্য কম হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা

admin
মে ৩, ২০১৫ ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

যশোরের মনিরামপুরে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকদের মুখে হাসি নেই। একদিকে উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজার দর অনেক কম থাকা এবং ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষেতের পাকা ধানের ক্ষতি হওয়া। অন্যদিকে সেচযন্ত্র মালিকদের বকেয়া টাকার তাগিদ আবার তার ওপর মধ্যস্বত্বভোগীদের পেতে রাখা ফাঁদে চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে এবার মনিরামপুর উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ২৮ হাজার পাঁচ’শ হেক্টর। কিন্তু অর্জিত হয়েছে ২৯ হাজার ২৫০ হেক্টর। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার ফজলুল হক মনি জানান মৌসুমের শুরুতে তীব্র শীতের কারনে বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হলেও সার কিটনাশক সরবরাহ স্বাভাবিক এবং শেষ পর্যায়ে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ৫০ ভাগ ধান চাষীরা ক্ষেত থেকে ঘরে তুলতে পেরেছে। আর অবশিষ্ট ধান ক্ষেতে থাকায় গত কয়েকদি03.05.2015নের থেমে থেমে ঝড়বৃষ্টিতে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অন্যদিকে ধানের বাম্পার ফলন হলেও বর্তমান বাজার দরের চেয়ে উৎপাদন খরচ অত্যন্ত বেশি হওয়ায় কৃষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। তার ওপর সেচযন্ত্র মালিকদের বকেয়া টাকা পরিশোধ এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছ থেকে শর্ত সাপেক্ষে অগ্রিম টাকা নিয়ে আবাদ করায় এখন কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ধান কম দরে বিক্রি করে দায়মুক্ত হচ্ছে বলে ভূক্তভোগী কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে। বাঙ্গালীপুর গ্রামের বর্গাচাষী হায়দার আলী(৪৫)এবার ৪ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলেন। তার হিসেবে সার কিটনাশক সেচ সহ সব মিলে প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে গড়ে নয়’শ থেকে এক হাজার টাকা। কিন্তু তিনি ব্রি-২৮ ধান বিক্রি করেছেন ৬’শ টাকা মণ দরে। একই কথা বললেন হানুয়ার গ্রামের কৃষক আনছার আলী। উপজেলার রাজগঞ্জ, নেঙ্গুড়াহাট, খেদাপাড়া, চিনাটোলা, নেহালপুর, ঢাকুরিয়া সহ পৌরশহরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রি-২৮ সহ অন্যান্য ধান ৬’শ থেকে সাড়ে ৬’শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগমপুর গ্রামের বোরো চাষী মতিয়ার রহমান বলেন, উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজার মূল্য কম হওয়ায় আগামিতে অন্য ফসল আবাদের চিন্তাভাবনা করছি। চাঁদপুর-মাঝিয়ালী গ্রামের সেচযন্ত্র মালিক আলী হোসেন বলেন,বাকিতে পানি সেচ দিয়ে ধান কাটার পর সেই টাকা আদায় করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তার পর ধানের দাম কম থাকায় কৃষকরা বকেয়া শোধ করতে তালবাহানা করছে।উপজেলা কৃষি অফিসার শুশান্ত কুমার বলেন, এভাবে বাজার মূল্য কম থাকলে কৃষকরা দিন দিন ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। তবে বাজার মূল্য বাড়ানো উচিত।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।