ঢাকামঙ্গলবার , ৫ মে ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোর থেকে কিশোরী

admin
মে ৫, ২০১৫ ২:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হরমোন পরিবর্তন হয়ে মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তরিত হয়েছে এক কিশোরী (১৪)। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী গ্রামে।

রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে নামের সংশোধন (এভিডেভিট) করার জন্য বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই কিশোরীর অভিভাবকেরা। পরে আদালত থেকে নাম পরিবর্তন করার অনুমতি পেয়েছেন তারা। এসময় বিষয়টি নিয়ে আদালত পাড়ায়ও বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।1430124064

আদালতে নাজির সুমন হোসেন নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আবেদনের বরাত দিয়ে জানানো হয়, লিজা আক্তার উত্তর পিঙ্গলাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে প্রাথমিক সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৮৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। তার রোল নম্বর ছিল ১৬৮৯। এরপর পিঙ্গলকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সে ২০১৪ সালে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৯৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। যার রোল নং ছিল ১৪৩৪৮১। তার দুই পরীক্ষাসহ সব পরীক্ষার সনদপত্রে লিজা আক্তার নামটি ঠিকই ছিল।

উত্তর পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের প্রবাসী আব্দুল রাজ্জাক সরদার জানান, গত ২২ এপ্রিল সকালে লিজা টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর তার (লিজার) লম্বা চুল ছোট ও টি-শার্ট প্যান্ট পরিধানে দেখে তারা বিস্মিত হয়ে পরেন। তাৎক্ষনিক তারা টয়লেটে প্রবেশ করে কাটা চুল ফ্লোরে পরে থাকতে দেখে। মেয়ের কাছে তারা ঘটনা জানতে চাইলে লিজা ছেলে হয়ে গেছে বলে তাদের কাছে প্রকাশ করে।

পরে ক্লিনিকে এনে পরীক্ষা করে তারা জানতে পারেন, হরমোন পরিবর্তনের ফলে লিজা মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।

পরবর্তীতে রোববার দুপুরে লিজার নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম হোসেন সরদার রাখার জন্য তারা বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রের আদালতের দ্বারস্থ হন। অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তরুণ বাছাড় ওই কিশোরীর নাম পরিবর্তনের আদেশ দিয়েছেন। ফলে স্কুল ছাত্রী কিশোরী লিজা আক্তার এখন হোসেন সরদার।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।