তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনিরামপুরের পল্লীতে গতকাল বুধবার দুপুরে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে একই পরিবারের ৫ জন সহ অন্তত: ১৩ জন আহত হয়। থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২ জনকে আটক করে। তবে এ ঘটানকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ইত্যা বাজারের আবুল ইসলামের দোকানে বিএনপি কর্মী বাবু কোল্ডড্রিংস কিনতে যায়। এ সময় সেখানে বসে থাকা শিবির কর্মী ইমরানের সাথে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে বাবুর কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। রাত ১০ টার দিকে ইমরানের নেতৃত্বে শিবিরের ১০/১১ জন কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপি কর্মী নাছিরের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। এসময় এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে তারা চলে যায়। বুধবার সকাল নয়টার দিকে ইত্যা বাজারে বিএনপি কর্মী নাছির শিবির কর্মী ইমরানকে মারপিট করে। অভিযোগ রয়েছে এ ঘটনার পর পরই বাজারের পাশে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে শিবিরের কর্মীরা ঐক্য হয়ে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। বিএনপির কর্মীরাও পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় দু’পরে তুমুল সংঘর্ষে আহত হয় নাছির, বাবু, করিম, নঈম, রমজান, আবদুল আলীম, সামছুর রহমান, শাহাজান, শহিদুল ইসলাম, ও সুফিয়া আহত হয়। অপরদিকে খবর পেয়ে ওসি মোল্যা খবির আহমেদের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ সময়য় পুলিশ সেখান থেকে বিএনপি কর্মী আবু তাহের ও শিবির কর্মী শাহীনকে আটক করে। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন কিনিকে ভর্তি করা হয়।এ দিকে অভিযোগ রয়েছে সকাল ১০ টার দিকে পুলিশ ইত্যা বাজার থকে চলে আসলে শিবির কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ইত্যা গ্রামের ’আহলে হাদিস’ পাড়ার ইসমাইলকে কুপিয়ে জখম করে। এঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সহিংসতা এড়াতে ইত্যা বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।