যশোরের মনিরামপুরের পল্লীতে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুটি গ্র“পের মাধ্যে ব্যাপক টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। জনা যায়, মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারঘাটা বাজারের পাশের মনোহরপুর মৌজার সাবেক ৮২৯৪, ৮২৯৫, ৮২৯৬ দাগের মোট ৪৩ শতক জমি ১৯২৭ ও ১৯৬২ সালের রেকর্ডে তৎকালীন স্থানীয় শ্রীনাথ বসু ও রমাচন্দ্র বসু গং দের নামে রেকর্ডভূক্ত ছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধা চলাকালীন সময়ে শ্রীনাথ বসু ও রমাচন্দ্র বসু গংরা ভারতে পাড়ি যমান। পরবর্তীতে সাবেক ৮২৯৪ দাগের ৯ শতক জমির মধ্যে ১ শতক জমি বাংলাদেশ সরকারের নামে এবং ৮ শতক জমি স্থানীয় মাহাতাব গাজীর নামে রেকর্ড হয়। বাংলাদেশ সরকারের নামে রেকর্ডভূক্ত ১শতক জমি স্থানীয় কুমারঘাটা সমবায় সমিতির নামে রেকর্ড করে দেয় যশোরের জেলা প্রশাসক। ওই জমির উপর সমিতির একটি ঘর তৈরি করে তারা তাদের নিত্য-নৈমিত্তিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে থাকে। পরবর্তীতে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হলে মনোহরপুরের মৃত জহুর আলী ফকিরের ছেলে মহাসীন আলী প্রায় ২ বছর পূর্বে একটি চায়ের দোকান স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যেহেতু সমিতির কার্যক্রম এখন বন্ধ সে কারনে পাশের ৮ শতক জমির মালিক মাহাতাব গাজীর ছেলে জালাল গাজী ওই ১ শতক জমির দাবি করে। আর এ নিয়েই বাধে দ্বন্ধ। গত ২৮মে জালাল উদ্দীন বাদী হয়ে মহাসীন আলী ও তার দুই ছেলে ফেরদৌস ও বুলবুলের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং পরে আদালত থেকে ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারী করে। সম্প্রতি কুমারঘাটা সমবায় সমিতির সভাপতির সভাপতি নুর মোহম্মদও ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করে। এ নিয়ে দুটি পরে মধ্যে চলছে ব্যাপক উত্তেজনা। স্থানীয় সুধি সমাজ মনে করছে আশু এর একটি সমাধান না হলে যে কোন সময় একটি অনাকাংখিত ঘটনা ঘটটে পারে।