ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৮ জুন ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঢাকায় ইস্কাটনের বাসায় গৃহবধু কাকলী হত্যা হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে নিহতের পিতার মনিরামপুরে সংবাদ সম্মেলন

admin
জুন ১৮, ২০১৫ ২:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কন্যা হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোরের মনিরামপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রীবাস কুন্ডু।
122
লিখিত বক্তব্যে শ্রীবাস কুন্ডু বলেন, তার কন্যা কাকলী রানী কুন্ডুর সাথে ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের ভক্ত রঞ্জন বিশ্বাসে ছেলে আর্কিটেক্ট প্রকৌশলী সুব্রত কুমার বিশ্বাসের বিয়ে হয় ২০০৩ সালের ৮ জানুয়ারি। বিয়ের পর তারা স্বামীস্ত্রী ঢাকার রমনা থানাধীন ২২ ইষ্কাটন গার্ডেনের ৪র্থ তলায় ফ্ল্যাটবাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করে। এরপর তাদের কন্যা সন্তান তিলোত্তমার জন্ম হয়। সন্তান নিয়ে তারা বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছিল। তিনি অভিযোগ করেন পরবর্তিতে সুব্রত বিশ্বাস নোয়াখালী এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা রহেনুমা ইয়াসমিন রিপার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। কিছু দিন যেতে না যেতেই তাদের পরকীয়ার বিষয়টি জেনে যায় কাকলী রানী কুন্ডু। ফলে কাকলী প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে স্বামীস্ত্রী(সুব্রত-কাকলী)র মধ্যে প্রায় ঝগড়া-বিবাদ হতো। এক পর্যায়ে সুব্রত কাকলীকে শারীরিক-মানষিক নির্যাতন শুরু করে।ফলে কাকলী স্বামী সুব্রত বিশ্বাসের নামে রমনা থানায় একটি জিডি করে(যার নং ১৭৪, তারিখ ০৩/১২/২০১৪)। কিন্তু পরবর্তিতে সুব্রত হিং¯্র হয়ে কাকলীর উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এ দিকে সুব্রত তার কতিথ প্রেমিকা রিপাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাকলীকে বিভোর্স দেয় এবং ডিভোর্স পেপারে কাকলীর স্বাক্ষর আদায়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ফলে সুব্রত কাকলীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। বিষয়টি কাকলী জানতে পেরে তার বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানিয়েছিল। সর্বশেষ মৃত্যুর আগের দিন ১০ জুন রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাকলী মোবাইল ফোনে তার বাবার সাথে কথা বলে। কাকলী তার বাবাকে বলেন, বাবা সুব্রত আমাকে বাঁচতে দিবেনা, আমি ওর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে চাই ,আমাকে ওর হাত থেকে বাঁচাও, এ ছাড়া আরো অনেক অভিযোগ করে। পরদিন ১১ জুন আনুমানিক সকাল আটটার দিকে কাকলী মোবাইলফোনে তার ছোট ভাই দেবাশীষ কুন্ডুকে জানায়, সুব্রত বাসায় ফিরলে দুপুরের দিকে সে তিলোত্তমাকে সাথে নিয়ে মনিরামপুরে(বাবার বাড়িতে) চলে আসবে।122
শ্রীবাস কুন্ডু আরো জানান, সুব্রত ১১ জুন বেলা সাড়ে এগারটার দিকে ফ্ল্যাট বাসার বেড রুমে শিশু কন্যা তিলোত্তমার সামনে সুব্রত কাকলীকে মদ জাতীয় তরল পদার্থ পান করানোর পর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সুব্রত কাকলীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ওড়ন পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বাদি হয়ে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করেন(মামলা নং ২১. তারিখ:- ১২/০৬/২০১৫)। ওই দিনই পুলিশ কাকলীকে হত্যার সন্দেহে সুব্রত বিশ্বাসকে আটক করে। আটকের পর মামলার তদন্তকারী অফিসার রমনা থানার এসআই টোকনুজ্জামান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে সিএমএম আদালতে সুব্রতকে ১২ জুন হাজির করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ ১৩ জুন আদালতের মাধ্যমে সুব্রতকে জেল হাজতে প্রেরন করে। নিহতের বাবা বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকারী সুব্রত বিশ্বাসের রয়েছে অঢেল টাকা পয়সা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি ওই টাকা ছড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে তার নিকট আত্বীয় স্বজনদের দিয়ে লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট আয়ত্ব করতে তদ্বির মিশন চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমার কণ্যা হত্যার সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে আশংকায় রয়েছি। এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলন থেকে কন্যা হত্যার সুষ্ঠু বিচার এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিহত গৃহবধু কাকলীর বাবা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।