যশোরের রাজগঞ্জের দুটি ব্রীজের বাইপাস সড়ক এখন মরন ফাঁদ হয়ে দাড়িয়েছে। এক মাসে যানবাহন উল্টে খাঁদে পড়ে মারা গেছে ১ জন, আহত প্রায় ২৫ জন। ব্রীজ তৈরী কালে যত্রতত্র ভাবে সড়ক তৈরী করাই একটুকু বৃষ্টি হতে না হতেই সাধারন জনগনকে দূভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, যশোর পুলেরহাট টু সাতক্ষীরা কুমিরা সড়ক পূন: সংস্কার কালে সড়কের দোদাড়িয়া ব্রীজ থেকে রাজগঞ্জ বাজার হয়ে রামপুর জামতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫ কি:মি: রাস্তার কাজ যশোরের আবু সাইদ নামে এক ঠিকাদার দায়িত্ব পান এবং গত সাড়ে তিন মাস পূর্বে কাজটি শুরু করেন। ধীর গতিতে রাস্তার কাজ চলছে, রাস্তায় সম্পৃক্ত রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন হানুয়ার মানিকগঞ্জ ব্রীজ ও মোবারকপুর ব্রীজ। ব্রীজ দুটির কাজ গত দেড় মাস আগ থেকে শুরু করেন এবং যত্রতত্র ভাবে দুটি বাইপাস সড়ক তৈরী করেন। এরই মধ্যে মানিকগঞ্জ ব্রীজের বাইপাস সড়ক দিয়ে হাল্কা থেকে ভারী যানবাহন যাতায়াত করতে যেয়ে কয়েকবার আটকা পড়েন। যার কারনে ঘন্টা কি ঘন্টা সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। শুধু এই নয় গত এক সপ্তাহ আগে রাজগঞ্জ স্টান্ড থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রী বোঝাই বাস বাইপাস সড়ক থেকে উল্টে ব্রীজের খাদে পড়ে যান। সেখানে প্রায় ১০/১২ জন আহত হয়। একই অবস্থা মোবারকপুর ব্রীজের বাইপাস সড়কে। গত এক মাস আগে এ সড়ক পার হতে যেয়ে একটি যাত্রী বোঝাই আলম সাধু উল্টে ব্রীজের খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে ১ জন মারা যান, ৫/৭ জন মারাত্বক জখম হন। শুধু এই নয় এখানে একের পর এক দূঘটনা লেগেই চলেছে। গত এক সপ্তাহ বৃষ্টির ফলে দুটি ব্রীজ সংলগ্ন খালে প্রচুর পানি আটকা পড়ে ফসল সহ বাড়ি ঘরের ক্ষতি হতে চলেছে। যার কারনে গতকাল শনিবার বিকালে তৈরী কৃত ব্রীজ দুটির বাইপাস সড়ক কেটে পানি বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় লোকজন। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের খেয়াল খুশি মত রাস্তা ও ব্রীজের কাজ করাই রাজগঞ্জ এলাকার জনগনের দূর্ভোগের শেষ নেই। এ বিষয়ে এলজিডি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।