1. admin@manirampurprotidin.com : admin :
  2. hnurul146@gmail.com : nurul :
  3. titonews24@gmail.com : Tito :
শিরোনাম :
অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের ভার্চুয়াল সাধারণ সভা অনুিষ্ঠত : অভিষেকের প্রস্তুতি হাইকোর্টের নির্দেশে কেশবপুরে অবৈধ “রোমান ব্রিকস” ভেঙ্গে দিল প্রশাসন মাদ্রিদে হবিগঞ্জবাসীর মিলন মেলায় মুখরিত লাভপিয়েছ মণিরামপুরের জুড়ানপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষককে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরে বাঁধা মালিতে জাতিসংঘ শান্তিপদক পেলেন বাংলাদেশের ১৩৯ জন শান্তিরক্ষী কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মণিরামপুরে সাংবাদিক পুত্র মাহির গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভ মণিরামপুরে ইকবালকে কমিটি গঠন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ : রোহিতার আহ্বায়ক বহিষ্কার মণিরামপুরে ২দিন ব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার শুভ উদ্বোধন মণিরামপুরে গ্রাম ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় স্কুল ছাত্রীর হাতে পঁচন ।। আদালতে মামলা

অতি বর্ষণে ডুবে গেছে মণিরামপুরের খাল-বিল-ডোবা চারো ঘুনি বুচনি কারিগর পাড়ায় কর্মচাঞ্চল্য

  • আপডেট: মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫
  • ৬৬৮ দেখেছেন
মণিরামপুরের খাল-বিল-ডোবা চারো ঘুনি বুচনি কারিগর পাড়ায় কর্মচাঞ্চল্য

একে আজাদ, মণিরামপুর:

কয়েকদিনের টানা বর্ষণে যশোরের মণিরামপুরের নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়ে খাল বিল নালা ডোবা একাকার হয়ে গেছে। চারদিকে শুধু পানি থৈ থৈ করছে। মৎস্যঘেরসহ পুকুর,ডোবা ও ফসলের ক্ষেত প্লাবিত হয়ে একাকার হয়ে যাওয়ায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে দেশী প্রজাতির ছোট বড় অনেক মাছ। ফলে মৎস্য শিকারীদের মাঝে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে। এদিকে মৎস্য শিকারের সহজ সামগ্রী ঘুনি বুচনি ও চারো বোনার কাজে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা,নেহালপুর ও মনোহরপুর ইউানয়নের কারিগর পাড়ায়। কারীগররা রাত দিন পরিশ্রম করে তৈরি করছেন এসব সামগ্রী। শুধু তাই নয়,নিজেদের তৈরি এসব সামগ্রী বাজারে বিক্রি করতে সাপ্তাহিক হাটের দিনগুলোতে সকাল থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। সোমবার সরেজমিনে এলাকাগুলো পরিদর্শনে এমনই চিত্র চোখে ধরা পড়ে।

 সুত্রে জানাযায়,উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব এলাকার হরিনা,বাটবিলা,কামিনিডাঙ্গা, ঝিকোরডাঙ্গা, কুশখালী,মহিষদিয়া, আশান নগর,পোড়াডাঙ্গা,সুজাতপুর ও কুশোরীকোনা এলাকার কয়েক হাজার পরিবার সরাসরি মাছ শিকারের সামগ্রী ঘুনি,চারো ,বুচনি ও টোবা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। বছরে ১২ মাস একাজ চললেও বর্ষা মৌসুমে এগুলোর চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে যায়। ফলে এখন ওইসব এলাকার নারী-পুরুষ সকলে মিলে একাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। কেউবা তৈরি করছেন চারো ঘুনি,কেউবা ব্যাস্ত তালের আশ ও বাঁশের চটা তৈরির কাজে। কাজটি তারা অতি উৎসাহে করলেও কেউ কেউ জানালেন হতাশার কথা। হরিনা গ্রামের কাত্তিক হালদার জানান,‘ মণিরামপুরের খাল-বিল-ডোবা চারো ঘুনি বুচনি কারিগর পাড়ায় কর্মচাঞ্চল্যসারা বছরই কাজ চলে। তবে আষাড় থেকে অগ্রাহন মাস পর্যন্ত আমরা বেশি ব্যাস্ত থাকি।’ কি দামে এগুলো বিক্রি করেন জানতে চাইলে তিনি জানান,‘যখন মাছ ধরার গোন লাগে তখন প্রতিটি বুচনি ৬৫-৭০ টাকা,চারো ঘুনি ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। একই গ্রামের সুকুমার হালদার জানান,‘তালের আঁশ ও বাঁশের চটা রেডি থাকলে দিনে ১৫-১৬ টা বুচনি তৈরি করা যায়। এগুলো আমরা স্থানীয় নেহালপুর,মণিরামপুর ও কেশবপুর বাজারে বিক্রি করি। বাটভিলা গ্রামের অমর ঢালি জানান,‘দিনে ২-৩ টা চারো বুনা যায়। তবে বাঁশের দাম বেশি হওয়ায় লাভ তেমন একটা হয়না।’ মণিরামপুরের খাল-বিল-ডোবা চারো ঘুনি বুচনি কারিগর পাড়ায় কর্মচাঞ্চল্য

সংসার চলে কেমন জানতে চাইলে অমর ঢালি আরো বলেন,‘এতে কি আর চলে,ঐ কোন রকম যায় আরকি।  একই গ্রামের জয়ান্তি ঢালি জানান,সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে চারো বোনার কাজ করি।’ তবে এলাকার কয়েকজন কারিগর জানান,‘গোনের সময় বাদে বছরের অন্যান্য মাসে এসব জিনিসের দাম অনেক কম থাকে। তখন যদি কিছু মাল কিনে রাখা যায়,তাহলে গোনের সময় ভালো লাভ করা যায়। একাজে তারা সরকারীভাবে ক্ষুদ্র ঋণ পেলে উপকৃত হবেন বলেও সুবর্ণভূমিকে জানিয়েছেন।


এ খবর টি সোস্যাল মিডিয়াতে এ পোষ্ট করুন

এ জাতীয় আরও খবর




© All rights reserved © 2013-2022