মনিরামপুর উপজেলার মোবারকপুর-টু-সিংহের খাজুরা রাস্তার কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার ইচ্ছামত আমা খোয়া দিয়ে রাস্তার বেড ভরাট করে নাম মাত্র পাইলিং করছে। স্থানীয়দের তোপের মুখে কয়েকদিন কাজ বন্ধ রাখার পর আবারও শুরু করেছে কাজটি। জানা যায়, উপজেলার রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মোবারকপুর শ্মশানঘাট মোড় থেকে সিংহের খাজুরা গ্রামের নেংগুড়াহাট বাজার পর্যন্ত ২.৯২৬ কি: মি: রাস্তা পাকাকরণের দায়িত্ব পান ঠিকাদার এ এস এম মাহাবুর রহমান।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ইনফরেস্টট্যাকচার ডেভোলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইঅওউচ) এর টঝউওউ এর অর্থায়নে ১ কোটি ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯ টাকার কাজটি গত ২০ জানুয়ারী থেকে শুরু করে ১৯ আগস্ট ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার ইচ্ছা মাফিক দেরিতে কাজ শুরু করে। বর্ষার মৌসুমে তড়িঘড়ি করে কাজ করতে যেয়ে ইট ভাটা থেকে আমা খোয়া কিনে ট্রাকে করে রাস্তায় আনা হচ্ছে। ওই আমা খোয়া দিয়ে রাস্তার বেড ভরাট করছে। যাহা রুলার দিয়ে পাইলিং করলে ওই আমা খোয়া ভেঙে ধুলোয় পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এদিকে রাস্তায় আমা (বাতিল) খোয়া দিয়ে কাজ করার সময় স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেয়। লোকজনের তোপের মুখে পড়ে কিছুদিন কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। পরে ঠিকাদার লোক দেখানো কাজ করতে কিছু পিকেট ইট রাস্তায় এনে ভেঙে বেডের উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে পুনরায় রুলার দিয়ে পাইলিং-এর কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সিংহের খাজুরা গ্রামের ফজর আলী জানান, প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এই সামান্য রাস্তার কাজ হচ্ছে তারপরও কাজের ভিতরে চলছে ব্যাপক দুর্নীতি। তিনি আরো বলেন, শুনেছি এ কাজটির দেখাশুনার দায়িত্ব যশোর এলজিইডির। অথচ রাস্তায় তেমন কোন লোক আমাদের সামনে পড়ে না। এ বিষয়ে ঠিকাদারের ছেলের এফাজ উদ্দীনের সাথে রাস্তায় কথা হলে তিনি বলেন, মনিরামপুর এলজিডি অফিসের কর্মকর্তারা আমাদের এই খোয়া দিতে বলেছে। যা কিছু বলার খাকলে তাদের সাথে বলবে। এ বিষয়ে যশোর এলজিইডির কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।