মণিরামপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আর এ ঘটনায় লাশ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দর কশাকশি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রোববার যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলা নং-৩২।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের কওছার গাজীর ছেলে বহুবিবাহের নায়ক লিটন হোসেনের সাথে প্রায় ১০মাস পূর্বে চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ফজলুর রহমানের মেয়ে শিউলী খাতুনের বিয়ে হয়। শিউলী খাতুন লিটনের ৬নম্বর স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী উভায়ই লিটনের কর্মস্থল চট্টগ্রামে থাকতেন। সেখানেই শুরু হয় মনো-মালিন্য। স্ত্রী শিউলী থাকা অবস্থায় লিটন পূর্বের ৪নম্বর স্ত্রীকে দেখাশোনা করতেন বলে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। আর এ কারনেই প্রায় দুই মাস পূর্বে লিটন তার ৬ষ্ঠ স্ত্রী শিউলীকে গ্রামের বাড়ি রেখে কর্মস্থলে ফিরে যান। স¤প্রতি ৬/৭ দিন পূর্বে লিটন বাড়িতে আসে। এসেই সে স্ত্রী শিউলীকে মানুষিক ও শারিরিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। মৃত শিউলীর পিতা ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, পূর্বের ন্যায় শনিবার সকালে আমার মেয়েকে তালাক দেয়ার হুমকিসহ মারপিট করে লিটন ও তার বড় ভাই টুকু। শিউলীর চাচা মোতালেব জানান, লিটন ও তার বাড়ির লোকজন আমার ভাতীজি শিউলীকে মেরে গলায় কাপড় বেঁধে আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়। হরিনা গ্রামের শ্যামল জানান, শুনেছি মেয়ের বাবা মামলা না করার স্বর্থে লিটনদের কাছে ৮০হাজার টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে ৫০হাজার টাকায় মীমাংসা হয়। মণিরামপুর থানার এসআই আকরাম হোসেন জানান, এলাকাবাসী দরজা ভেঙ্গে ঘর থেকে লাশ বের করেছে বেলা তিনটার দিকে। কিন্তু মেয়ে পক্ষ থানায় সংবাদ দেয় রাত ১২টার দিকে। এত দেরি করার কারণ হিসেবে যেটা পেলাম তা হল, উভয়পক্ষ একটা চুক্তির ভিতরে গিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করে। তাতে ব্যর্থ হলে মেয়েপক্ষ থানায় খবর দেয়। থানার ওসি জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।