প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম-সম্পাদক জাহিদুল কবীর মিল্টনকে অপহরণ করে মারপিট করার ঘটনায় কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। মিল্টন নিজে বাদী হয়ে বুধবার রাতে মামলাটি করেন। মামলায় আসামি করা হযেছে শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোডের জাহাঙ্গীর ওরফে খোড়া জাহাঙ্গীরের ছেলে রাজসহ (৩৫) অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে। মিল্টন তার অভিযোগে জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি এবং দৈনিক স্পন্দনের ফটোসাংবাদিক নিজাম মোটরসাইকেলযোগে শহরের বঙ্গবাজারে সামনে যান। এসময় আসামি রাজ ও একটি মোটরসাইকেল দিয়ে মিল্টনের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেন। মিল্টন বঙ্গবাজারে কাজ শেষে বেলা একটার দিকে প্রধান ডাকঘরের সামনে এলে আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এসময় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক মিল্টনের কাছে থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং একটি ডিজিটাল ক্যামেরা কেড়ে নেন। এক পর্য য়ে আসামিরা মিল্টনকে অপহরণ করে গাড়িতে করে শহরে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তিনি কৌশলে পালিয়ে আসেন।
কোতয়ালী থানার ওসি শিকদার আককাছ আলী বলেন, ‘সাংবাদিক মিল্টন হত্যাপ্রচেষ্টার আসামি যারাই হোক, তাদের গ্রেফতার করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’ প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ আশ্রিত সন্ত্রাসীদের মারপিটের শিকার ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সরকার-সমর্থক অংশের কার্যনির্বাহী সদস্য, প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম-সম্পাদক জাহিদুল কবীর মিল্টন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মারপিটে তার মাথা ফেটেছে, কলার বোন ভেঙেছে; শরীরের অন্যান্য স্থান জখম হয়েছে।