মনিরামপুরের দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ই-সেবা কর্মীর বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানলেও এখনো পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২১ আগষ্ট উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ই-সেবা কর্মী মুরাদ হোসেন পরিষদ সচিবের অফিস কক্ষে পাশ্ববর্তী মনোহরপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্যের মেয়ে নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজের এক ছাত্রীকে নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। স্থানীয় জনগণ ঘটনা টের পেয়ে ওই কক্ষে তাদের আটক করে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সা.সম্পাদকের সহযোগিতায় তালা খুলে তাদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিন শুক্রবার সরকারী ছুটি থাকলেও মুরাদ অফিসে এসে পরিকল্পনা মাফিক ওই অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ বিষয়ে জানতে মুরাদের সাথে বার বার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সরদার বাহাদুর আলীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ঘটনা যতখানি রটেছে ততখানি সত্যি নয়। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এটি ঘটানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এদিকে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, চেয়ারম্যানের উদাসীনতার কারণে মুরাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং তাকে দিয়ে পরিষদের যাবতীয় কাজ করিয়ে চলেছেন চেয়ারম্যান। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, পরিষদ ও চেয়ারম্যানের সম্মানার্থে অফিস কক্ষের তালা খুলে তাদের উদ্ধার করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য খোঁজখবর নিবেন এবং প্রয়োজনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।