ঢাকামঙ্গলবার , ২৫ আগস্ট ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে চাঞ্চল্যকর মানোয়ার হত্যার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী আতাউর গ্রেফতার

admin
আগস্ট ২৫, ২০১৫ ৪:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মনিরামপুরের চাঞ্চল্যকর নির্মান শ্রমিক মানোয়ার হত্যার প্রধান আসামী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্স সন্ত্রাসী আতাউরকে আটক করেছে সিআইডি পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে যশোর শহরের বেজপাড়ার রেললাইনের পাশের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর গতকাল মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড দাবি করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র উপ-পরিদর্শক মমতাজুল হক। আদালত আগামী বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছেন। এদিকে প্রশাসনের কথিত সোর্স এলাকার ত্রাস আতাউরকে আটকের সংবাদে এলাকার শান্তি কমিটির সদস্য ও সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মোবাইলে শান্তি কমিটির সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে বলে আ.রউফ নামের এলাকার এক যুবক জানিয়েছে।
যশোর সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মমতাজুল হক জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরের বেজপাড়ার রেললাইনের পাশের একটি চায়ের দোকানে তার অবস্থান টেরপেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে আতাউরকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর ৫ দিনের রিমান্ড দাবি করে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত আগামী বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছে। 
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দোহাকোলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্স আতাউর রহমান যশোরের রাজারহাট বাজারে জমি কিনে বাড়ি নির্মান শুরু করে। মূলত: এ বাড়িটি নির্মান করার সাব ঠিকাদার হিসেবে দায়িত্বপান নির্মান শ্রমিক মানোয়ার হোসেন ও তার লোকজন। মানোয়ার হোসেনের ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, মানোয়ার মারা যাওয়ার প্রায় দুইমাস পূর্ব থেকে কাজ করলেও আতাউর চুক্তিমোতাবেক কোন টাকা পরিশোধ করেনা। ফলে কাজ বন্দ করে মানোয়ার কাঠ-বাঁশসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে আসে। আর এ কারনেই আতাউর ক্ষিপ্ত হয় মানোয়ারের উপর প্রতিশোধ নিতে। সে মোতাবেক আতাউর চলতি বছরের ২৯ মার্চ রোববার দুপুরে মানোয়ার হোসেনকে কৌশলে সাথে করে নিয়ে পার্শ্ববর্তী দোহাকোলা গ্রামের অলিয়ার রহমানের ছেলে সন্ত্রাসী হাসানুরের বাড়িতে একসাথে খাওয়া-দাওয়া করে বিকেলে বাড়ির উদ্দশ্যে রওনা হয়। নিহতের ভাই আনোয়ার আরো জানান, ওই দিন রাত ৮ টার দিকে আতাউর, হাসানুর, লাল্টুসহ আরো কয়েকজন মিলে মানেয়ারকে বাগডাঙ্গা স্কুলের পাশে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় আতাউরের নেতৃত্বে হাসানুরসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা মানোয়ারের নাভীর নিচে পিস্তল ঠেকিয়ে পর পর দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন মানোয়ারকে উদ্ধারের পর প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে বাগডাঙ্গা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্স আতাউর রহমান, জোহর আলীর ছেলে হারুন-অর-রশিদ লাল্টু, দোহাকোলা গ্রামের অলিয়ার রহমানের ছেলে হাসানুর, সবুজ হোসেনসহ ১০ জনের নাম উলে¬খ করে মনিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার কয়েক দিনের মাথায় সেটির তদন্তভার পড়ে সিআইডি পুলিশের এসআই তৈহিদুলের উপর। কিন্তু পরবর্তীতে সিআইডি যশোর জোনের এএসপি মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৈহিদুলের বিরুদ্ধে মামলার মূল আসামী আতাউরের সাথে গোপন আতাতের অভিযোগ তোলেন মানোয়ারের বড় ভাই আলতাফ হোসেন, তার মা লতিফা বেগম ও মামলার স্বাক্ষী শফিয়ার সহ আরও অনেকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় সিআইডির পরিদর্শক মমতাজুল হকের উপর। পরিদর্শক মমতাজুল মামলাটি হাতে পাওয়ার প্রায় ২ মাসের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার আতাউরকে আটক করে

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।