মণিরামপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাঁদছেন মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খোকা (৬৭)। ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৮ নং সেক্টরের ভাঙ্গাচুরা নুরুল ইসলাম নামে পরিচিত এই মুক্তিযোদ্ধা ব্যবসার পাওনা টাকা চেয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন। উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের গালদা গ্রামের হানেফ মোড়ে গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের গালদা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খোকা একই গ্রামের শহিদুলের সঙ্গে হানেফ মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে মাংসের ব্যবসা করে আসছে। মাস দুয়েক আগে ওই গ্রামের আবুল বাসার তোতার ছেলে জোনাব আলী তাদের কাছ থেকে বাকিতে ৫০০ টাকা মূল্যের ১ কেজি খাসির মাংস ক্রয় করে। ওই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার সকালে খোকা ও জোনাব আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জোনাব আলী ক্ষিপ্ত হয়ে পিতৃতূল্য মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম (খোকা) কে মারতে গেলে স্থানীয জনতা ও খেদাপাড়া ৩ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি রামপদ রায় জুনাবকে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে ওই দিনই বেলা ১১ টার দিকে হানেফ মোড়ে একা পেয়ে জোনাব আলী তার হাতে থাকা বিদেশী টর্চ লাইট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা খোকার মাথা,পিঠ ও পাজরে আঘাত করে। এতে নুরুল ইসলাম (খোকা) গুরুত্বর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী উদ্ধার করে খোকাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে খোকা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার এসআই আকরাম হোসেন জানান, বাবার বয়সি লোকের গায়ে হাত তোলা একটা জঘন্য অপরাধ। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ জোনাব আলীকে আটকের জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে,জোনাব আলী পেশাদারী ডাকাত এবং সমাজের কুখ্যাত লোক। তার সাথে বিভিন্ন এলাকার খারাব লোক জনের চলা ফেরা। পেশা চুরি ডাকাতি হলেও সম্প্রতি সে আ’লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চলার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, মাসখানেক পূর্বেও এই জোনাবের নামে কদমবাড়িয়া এলাকার ছাত্রলীগের আব্দুল আলীম মুন্নাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এলাকার শান্তিকামী মানুষ জোনাবের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছেন।