অপহরণের হাত থেকে রা পেতে এক স্কুলছাত্রী কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারী সালেহা খাতুন (১৮) যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মহাতাপনগর গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে মালয়েশিয়া প্রবাসী মোজাহার আলীর কন্যা এবং একই উপজেলার ঘোড়াগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। মৃতার মাতা রূপভান বেগম ও মামা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে সালেহা খাতুন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ঝিকরগাছাউপজেলার কাউরিয়া রাজাপুর গ্রামের ইসহক আলীর পুত্র হাসান তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের নিয়ে পথের মাঝে সালেহা খাতুনকে মারধর করে এবং অপহরণ করার চেষ্টা চালায়। তখন সম্্রাট নামে এক স্কুল ছাত্র বাড়িতে গিয়ে সংবাদ দেয়। মাতা রূপভানসহ গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সালেহাকে উদ্ধার করে। এরপর বাড়িকে গিয়ে সালেহা কীটনাশক পান করে। গুরুতর অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সালেহা মৃত্যুবরণ করে।
আব্দুল মান্নান আরো জানিয়েছেন, এক মাস আগে মনিরামপুরের খেদাপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর সাথে সালেহা খাতুনের বিয়ে হয়েছে কিন্তু এখনো তাকে তুলে নেয়নি। এসএসসি পাশ করে তাকে স্বামীর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এর দু বছর আগে সন্ত্রাসী হাসান জোরপূর্বক সালেহা খাতুনকে বিয়ে করে। পরে বাড়িতে নিয়ে হাসান তাকে শারীরিকভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এ পরিস্থিতিতে সালেহা খাতুনের সাথে হাসানের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর সালেহা খাতুন পুনরায় স্কুলে ভর্তি হন। তার মৃত্যুর ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে বুধবার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।