ঢাকামঙ্গলবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৩’শ ২টি প্রতিমা সম্বলিত কুশখালি পূজা মন্ডপে উদযাপিত হতে যাচ্ছে দূর্গোৎসব মনিরামপুরে সাড়ম্বরে শুরু হয়ে গেছে শারদীয় দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি

admin
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪ ৩:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মনিরামপুর অফিস ঃ
মনিরামপুরে সাড়ম্বরে শুরু হয়ে গেছে শারদীয় দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি। বাঙ্গালী হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এখন মন্দির-মন্ডপগুলোতে প্রতিমা নির্মানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এখন চলছে রং আর সাজসজ্জার কাজ। দূর্গতি নাশিনী দেবী দূর্গাকে বরন করতে সর্বত্রই সাজসাজ রব। শিল্পী ব্যস্ত প্রতিমাকে আরো রূপ-মাধূর্যে পরিপূর্ন করে তুলতে। কারীগর ব্যস্ত মঞ্চ-প্যান্ডেল স্থাপনে। এগিয়ে চলছে অন্যান্য কাজও। সবমিলিয়ে প্রতিমা শিল্পীদের দিনরাত এখন একাকার। এভাবে মনিরামপুরের পূজামন্ডোপে এখন চলছে দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি মূলক আয়োজন। দূর্গাদেবীর আবাহন বা মহালয়া, তারপর দেবী দূর্গার বোধন, আমন্ত্রন ও অধিবাসের মধ্যেিদয় শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিনের মহা দূর্গোৎসব। প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই বর্নিল উৎসব। এবার উপজেলার কুশখালি গ্রামের সনাতন ধর্মালম্বী যুব-সম্প্রদায়ের স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরীকৃত ৩’শ ২টি প্রতিমা সম্বলিত পূজামন্ডপে উদযাপিত হতে যাচ্ছে দূর্গোৎসব।
মনিরামপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্র জানান, উপজেলার কেন্দ্রিয় পূজামন্ডপ পৌর শহরের শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির প্রাঙ্গন দোলখোলায়। প্রতি বছরের ন্যায় এবার দোলখোলা পূজা উদযাপন কমিটি আড়ম্বরপূর্ণভাবে প্রতিমার নকশা, লাইটিং ও ডেকোরেশন এর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। এছাড়া পৌরCAMERA শহরের ৬টি, খেদাপাড়া ইউনিয়নে ৪টি, রোহিতা ৭ টি, কাশিমনগর ৬ টি, ভোজগাতী ১ টি, ঢাকুরিয়ায় ৭ টি, হরিদাসকাটি ৬ টি, মনিরামপুর ২ টি, হরিহরনগর ৫ টি, মশ্মিমনগর ৭ টি, চালুয়াহাটি ৭ টি, শ্যামকুড় ৩ টি, খানপুর ৫ টি, কুলটিয়া ৩ টি, নেহালপুর ৪ টি, ঝাঁপা ৫ টি, মনোহরপুর ২ টি এবং দূর্বাডাঙ্গা ৫ টি। সর্বমোট ৮৫ টি পূজা মন্ডোপে পূজা উদযাপিত হবে। সরেজমিনে জানাযায়, এবার উপজেলার কুশখালি পুজা মন্ডপে ৩’শ ২টি প্রতিমা তৈরী হয়েছে। এ মন্ডপে দূর্গা ও অন্য প্রতিমা গুলোর পাশাপাশি পৌরাণিক নানা চরিত্রের প্রতিমা ও প্রতিকৃতি সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ভাষ্কর্য শিল্পী তুষার কান্তি মন্ডলের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি ভাষ্কর দল দীর্ঘ ৪ মাস ধরে কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি, এই ৪ যুগের পৌরানিক কাহিনী তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই মন্ডপের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি হিরামন মল্লিক জানান, প্রায় ৮ ল টাকা প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারন করে নির্মিত পূজা মন্ডপটি এ অঞ্চলের সর্ব বৃহৎ পুজা মন্ডপ। সনাতন ধর্ম ও পঞ্জিকা মতে দেবী দূর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় এবার নৌকায় চড়ে মর্তালোকে আসবেন। আর বিদায় নিবেন দোলায় চড়ে। যার ফলে ধরাধাম বা বসুন্ধরা শস্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। উপজেলা সার্বজনীন পূঁজা কমিটির সাধারন সম্পাদক সুনিল ঘোষ বলেন, সুষ্ঠ-সুন্দর ও জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে এবারের দূর্গাৎসব উদযাপিত হবে বলে আশা করছেন। এ েেত্র প্রশাসন সহ আইন শৃংখলা রাকারী বাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবেন বলে তার বিশ্বাস। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ নজরুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে দূর্গোৎসব শান্তিপূর্নভাবে উদযাপনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বিগ্নে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদযাপিত হবে এবারের পূজা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।