ঢাকাসোমবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরের শ্যামকুড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা ভূয়া সনদে বহাল তবিয়তে

admin
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫ ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মন্ত্রনালয়ের অডিট টিমের কর্মকর্তারা তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দিয়েছেন মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড়-যমযামিয়া দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউার শিক্ষক নুরুন্নাহার খাতুনের নিয়োগে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সনদটি ভূয়া। কিন্তু সচেতন মহলের প্রশ্ন কিভাবে তিনি দীর্ঘ ১১ বছর অত্র প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে সরকারের বেতন-ভাতা ভোগ করে চলেছেন। নিয়োগ বোর্ডের পত্র সুত্রে জানাযায়, নুরুন্নাহার খাতুন বিগত ২০০৪ সালের ১৩ এপ্রিল শ্যামকুড়-যমযমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষিকা (কম্পিউটার) পদে নিয়োগ পান। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে চাকুরীতে যোগদান করেন ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল। এরপর ২০০৫ সালের ১০ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে একটি অর্ডিট টিম আসে উক্ত মাদ্রাসা সংক্রান্ত তদন্ত করতে। যার স্মারক নং- ডিআইএ/যশোর/১৪৬-এম/খুলনা-১৬৬১/৫। অর্ডিট টিমের কর্মকর্তা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ-পরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং একই মন্ত্রনালয়ের পরিচালক প্রফেসর আলী আকবর খান তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন বগুড়ার নট্রামস প্রশিক্ষণ দপ্তর থেকে অর্জিত যে সনদ দিয়ে নুরুন্নাহার খাতুন নিয়োগ পেয়েছেন তা ভূয়া। উক্ত সনদটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের নয়, ব্যবসায় শিক্ষার জন্য। অর্ডিট টিমের পত্র সূত্রে জানাযায়, ২০০৫ সালের ১লা জানুয়ারী নুরুন্নাহার খাতুন এমপিও ভুক্ত হন। অর্ডিট টিমের কর্মকর্তারা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন ২০০৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনি ৫১’শ টাকার স্কেলে মোট ৭২ হাজার ৩৪ টাকা বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন তা সরকারের ঘরে ফেরত দিতে হবে। এছাড়া তিনি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করা পর্যন্ত তার বেতন ভাতা বন্ধ থাকবে। উক্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি প্রদান করা হয় সচিব-শিক্ষা মন্ত্রনালয় মহা-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিদর্শন কর্মকর্তা শিক্ষা পরিদর্শক অধিদপ্তর এবং সভাপতি ব্যবস্থাপনা কমিটি শ্যামকুড়-যমযামিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিকট। এ ব্যাপারে অভিভাবক ও সচেতন মহলের অভিমত যেহেতু ভূয়া সনদ দিয়ে চাকুরীতে প্রবেশ করেছেন। সেহেতু নুরুন্নাহার খাতুনের বিরুদ্ধে অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহনা করা হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষক ও অজ্ঞাত কারনে মন্ত্রনালয়ের অডিট টিমের ওই প্রতিবেদন ধামা চাপা দেয়া হতে পারে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্যামকুড়-যমযামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষিকা (কম্পিউটার) নুরুন্নাহার খাতুন বলেন, সার্টিফিকেটের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা, আমার স্বামী সব বলতে পারবে। তবে তিনি জানান, প্রথম সার্টিফিকেটে সমস্যা হওয়ায় পরে আরেকটি সার্টিফিকেট ম্যানেজ করা হয়। নুরুন্নাহারের স্বামী আব্দুল মজিদ স্বীকার করে বলেন, বগুড়ার নট্রামের সার্টিফিকেট জাল হওয়ায় তা ধরে পড়ে মন্ত্রনালয়ের ওই অডিট টিমের হাতে। কিন্তু পরে সবকিছু ম্যানেজ করে আর একটি সার্টিফিকেট মাদ্রাসায় দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে মন্ত্রনালয়ের অডিট টিমের কাগজপত্র এবং শিক্ষিকা নুরুন্নাহারের ভূয়া সার্টিফিকেটসহ তার নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র দেখিয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ খান বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ফলে সব কিছু না জেনে কোন মন্তব্য এই মুহুর্তে করতে পারছি না। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা প্রধান মোঃ নজরুল ইসলামের মন্তব্য জানতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।