মণিরামপুরে গরু ব্যবসায়ীর দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা দুই ডাকাতকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গত শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে যশোর কোতোয়ালী থানার সীমান্তবর্তী এলাকা নরেন্দ্রপুর ব্রিজ সংলগ্ন মণিরামপুরের ঢাকুরিয়া চাপাকোনা এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহত দুই ডাকাত নরেন্দ্রপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ এর ছেলে জুয়েল রানা (২৪) ও সুজন (২৩)। পুলিশ আহত দু’ডাকাতকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। উপজেলার জয়পুর কাচারিবাড়ি এলাকার আতিয়ার গাজীর ছেলে শফিয়ার জানান,শুক্রবার সকালে তিনটি গরু নিয়ে সে রুপদিয়া হাটে যায়। তার মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় দুইটি গরু বিক্রি করে এবং অপরটি সঙ্গে নিয়ে আলমসাদুতে করে চালকসহ ৩ জনে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে রাত সাড়ে আটটার দিকে নরেন্দ্রপুর ব্রিজের কাছে পোঁছালে ৫ জন ডাকাত তাদের গতি রোধ করে। এসময় ডাকাতরা শফিয়ারের গলায় ধারাল দা ধরে কাছে থাকা ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। শফিয়ারসহ ৩ জনের চিতকারে স্থানীয় জনগন চারপাশ থেকে ধাওয়া করে হাতেনাতে ৩ ডাকাতকে ধরে ফেললেও বাকি দু’জন পালিয়ে যায়। শফিয়ার আরো জানায়, আটক তিন জনের মধ্যে রসুল নামের একজন পরিচিত হওয়ায় জনগন তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আটক জুয়েল রানা জানায়, আমরা দুই ভাই,আল আমিন,রসুল ও অপরিচিত একজনসহ দলে মোট ৫ জন ছিলাম। জনগন রসুল নামের যাকে ছেড়ে দিয়েছে সেই মূলত আমাদের ডেকে এনেছে এবং ছিনতাইয়ের সব টাকা তার কাছেই ছিল। মণিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শিকদার মতিয়ার জানান,খবর পেয়ে আটক দু’ডাকাতকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিতসক ইকরামুল জানান, দুই ডাকাতের অবস্থাই আশংকাজনক। মণিরামপুর থানার ওসি তাহেরুল ইসলাম জানান, ডাকাতির ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে।