মনিরামপুর অফিস ঃ
মণিরামপুর পৌরশহরে আবারো দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশের চাপে চাঁদাবাজির মামলা করতে ভূক্তোভোগীদের বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার গভীর রাতে পৌরশহরের উত্তর মাথায় অবস্থিত মণিরামপুর ফিলিং ষ্টেশনে পুলিশ টহলরত থাকা অবস্থায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা নগদ টাকা, মোবাইলসেটসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
মণিরামপুর ফিলিং ষ্টেশনের ক্যাশিয়ার জুলফিকার আলী জানান, ঘটনার রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে যশোরের দিক থেকে খালি গায়ে ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল এসে কিছু বুঝে উঠার আগেই চৌকিদার আমিন সরদার ও নজেলম্যান শরিফুল ইসলামকে দড়ি দিয়ে বেঁধে টয়লেট আটকিয়ে রাখে। এরপর তালা ভেঙ্গে ম্যানেজারের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে মারপিট পূর্বক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার কাছে রক্ষিত নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৩ টি দামী মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ম্যানেজার আরো জানায়, ডাকাতির ঘটনার সময় পুলিশ যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে টহলরত ছিল কিন্তু তারা ডাকাতদলের কাউকে আটক করতে পারেনি। খবর পেয়ে ডাকাতির প্রায় ২০ মিনিট পর মণিরামপুর থানার ওসি খবীর আহমেদ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় তিনি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ভূক্তোভোগীদের সাধারন ডাইরী করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। মণিরামপুর ফিলিং ষ্টেশনের ম্যানেজার আক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় সাধারন ডাইরী করা হচ্ছে। মণিরামপুর থানার সিনিয়র অফিসার তাসমীম বলেন, এ বিষয়ে চাঁদাবাজির মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ওসি মোল্লা খবীর আহমেদ চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করে বলেন, তারা যে মামলা দিবে সেই মামলাই নেয়া হবে।