ঢাকামঙ্গলবার , ৩ নভেম্বর ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কে কতবার ক্ষমতা পেলে নির্মিত হবে বাইপাস সড়কটি : জানতে চাই মনিরামপুরবাসী

admin
নভেম্বর ৩, ২০১৫ ৩:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সরকার যায় আবার সরকার আসে। কিন্তু কোন সরকারের আমলে যশোরের মনিরামপুর পৌরশহরের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবি বাইপাস সড়কটি অধ্যাবধি নির্মিত হয়নি। ফলে নিরাশার চোরাবালীতে পড়ে বাইপাস সড়কটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ব্যস্ততম এ শহরের জনসাধারনের ভোগান্তি চরমে ওঠায় দিন দিন ক্ষোভের তীব্রতা বাড়ছে। কোন সরকার কতবার ক্ষমতায় পেলে বাইপাস সড়কটি নির্মিিত করবে জানতে চাই মনিরামপুরবাসী।  নির্বাচন এলে ভোট প্রার্থীরা ভূক্তভোগী জনতাকে বাইপাস সড়কটি নির্মানের জন্য বারবার প্রতিশ্রুতী দিলেও ভোটের পর জনপ্রতিনিধিরা তা বেমালুম ভুলে যান বলে অভিযোগ সাধারন মানুষের। জানাযায়, ১৭ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে প্রায় পাঁচলাখ জনঅধ্যুষিত দেশের বৃহত্তম উপজেলা মনিরামপুর। ১৯৯৭ সালে মনিরামপুর পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে পৌরশহর কেন্দ্রিক নানা প্রয়োজনে মানুষের বসবাস ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। পৌরসভার উপর দিয়ে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ঢাকাগামী পরিবহনের বহরের পাশাপাশি লোকাল বাস, ট্রাক, ইসি বাইক, ট্রেগার, বেবিট্যাক্সী সহ ছোট বড় যানবাহনের চলাচল উত্তরোত্তর বৃদ্দি পাচ্ছে। এছাড়া যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক লাগোয়া বিশাল পশুহাট এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর সবজি মোকাম অবস্থিত। যে কারনে দূর-দূরান্ত থেকে কাক ডাকা ভোর হতে ক্রেতা-বিক্রেতারা দিনের প্রায় পুরো ভাগই নছিমন, করিমন, পিক-অ্যাপ, ট্রাক যোগে সবজি ও পশু পরিবহন করে। এর বাইরে লোকাল বাস গুলো পৌরশহরের যত্রতত্র যাত্রী ও ট্রাকের মালামাল উঠানামার কারনে যানযট এখন নিত্যদিনের ভোগান্তিতে পরিনত হয়েছে। এর ফলে স্কুল-কলেজ ও অফিসগামীদের নিত্যদিন চরম দূর্ভোগে পোহাতে হয়। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায় ২০০১ সালে চার দলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর ২০০৪ সালের দিকে ততকালীন সংসদ সদস্য মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে একটি প্রস্তাবনা পাশ করান। সে অনুযায়ী পৌর এলাকার বেলতলা-বিজয়রামপুর-আকরাম মোড় হয়ে একটি বাইপাস সড়ক মনিরামপুর কলেজ হয়ে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সাথে সংযোগ হওয়ায় কথা ছিল। এমনকি এটি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে জমি অধিগ্রহনের পত্রও জারি করা হয়। কিন্তু হঠাত করেই সে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ ব্যপারে সাবেক সংসদ সদস্য মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, জন সাধারনের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে তার সময়ে বাইপাস সড়ক নির্মানে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারো বাইপাস সড়ক নির্মানে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বাইপাস সড়কটি নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে পত্রাদেশ দেন। কিন্তু এর পর আর কোন অগ্রগতি হয়নি। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য পত্রাদেশ দেয়ার কথা উল্লে¬খ করে বলেন, পৌরসভা থেকে বাইপাস সড়কে প্রস্তবনা না যাওয়ায় তা ঝুলে আছে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পৌরসভার উল্লেখযোগ্য এধরনের প্রকল্প প্রস্তাবনা দিতে জমি অধিগ্রহন সহ নানা জটিলতা পার করতে বিপুল অংকের অর্থের প্রয়োজন। কেবল সড়ক ও জনপদ বিভাগই পারে তা বাস্তবায়ন করতে। সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল মেহেদি বলেন, তাদের দপ্তর থেকে মনিরামপুর, নওয়াপাড়া ও ঝিকরগাছা উপজেলায় বাইপাস সড়ক নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে কৃষি জমি অধিগ্রহন করে নতুন বাইপাস সড়ক নির্মান করা যাবে না মর্মে অফিসিয়ালী আদেশ থাকায় তা স্থগিত আছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।