ঢাকারবিবার , ৮ নভেম্বর ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুরে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

admin
নভেম্বর ৮, ২০১৫ ২:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া গাঙ্গুলিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নাজমুস শাহাদাতের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানের দুই ছাত্র/ছাত্রীর বৃত্তির টাকা আত্মসাতের, জাতীয় দিবসগুলো পালন না করা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন না করা, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানীসহ নানাবিধ অভিযোগ আসতে শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে। সূত্র জানায়, ২০১২ সালে নিজেকে ওলামালীগের কর্মী সনদ দেখিয়ে মাদ্রাসায় চাকরি নেন নাজমুস শাহাদাত। চাকরি পাবার পর থেকে তিনি অনিয়মতান্ত্রিক কাজ শুরু করেন। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানের ৮ম শ্রেণীতে বৃত্তি পাওয়া ৩ ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে দুই জনের টাকা না দিয়ে তা আত্মসাতের করেছেন। বৃত্তি পাওয়া এক ছাত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের ছেলে হওয়ায় তার টাকা তিনি ঠিকই দিয়ে দেন। কিন্তু খড়িঞ্চী গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে সাইফুল এবং অন্য জন বসন্তপুর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে আসমা খাতুন। তারা সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে। কিন্তু আজো পর্যন্ত তাদেরকে বৃত্তির কোন টাকা দেয়া হয়নি। সূত্র জানিয়েছে মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ অর্থ কমিটির সদস্য ছিলেন মাস্টার আব্দুর রহমান। কিন্তু তিনি ফান্ডের টাকার কোন খোঁজ রাখেন না। কারণ তিনি আর্থিক বিষয়ে যথাযথ খোজ নেবার কারণে তার কাছ থেকে অধ্যক্ষ জোর করে দায়িত্ব ছিনিয়ে নেন। কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ সানার ছেলে নাজমুস শাহাদাত সানা। তার বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় ২০১৪ সালে একটি (১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৫০৬/৪২৭) জিআর মামলা হয়। মামলায় আদালত অবমাননা করার কারণে  যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালত থেকে ১৩ অক্টোবর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। তার বিরুদ্ধে তার নিজ গ্রাম চাঁদড়ার আবুল কাশেম সানা (পিতা সলেমান সানা) ২ জানুয়ারি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এবং চুরির অপরাধে কেশবপুর থানায় পরদিন একটি মামলা করেন। থানার অফিসার্স ইনচার্জ মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং আসামি নাজমুস শাহাদাতকে বিজ্ঞ আদালত ৭ জানুয়ারি জেলহাজতে প্রেরণ করেন।  এদিকে অধ্যক্ষের হাজত বাসের কারণে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হাবিবুর রহমান ভোলা ৯ জানুয়ারি জরুরী মিটিং আহবান করেন। ওই মিটিং-এ অধ্যক্ষকে সাময়িক বহিষ্কার এবং উপাধাক্ষ এ কে এম আমজাদ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। এ ছাড়াও গত বছরের ৩ এপ্রিল মাদ্রাসার সকল শিক্ষক কর্মচারী তার বিরুদ্ধে যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়-খেদাপাড়া গাঙ্গুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবস, বিজয় দিবস এবং জাতির জনকের মৃত্যুবার্ষিকী পালন না করা। অভিযোগ আমলে এনে সংসদ সদস্য ওই বছরের ৫ এপ্রিল ততকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।