মণিরামপুর উপজেলার চরমপন্থী অধ্যুষিত দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের কুশখালী গ্রামে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শালিসী সভায় মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। তবে এঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ওই এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে। এবং খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়, ইন্দ্রজিৎ নামে এক যুবককে মারপিট করার প্রতিবাদে একই রাতে কুশখালী মন্দিরের সামনে শালিসী সভা চলছিল। এর মধ্যে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল যোগে ওই শালিসী সভায় প্রবেশ করে বলতে থাকে এখানে কোন শালিস-বিচার হবে না, করলে তার পরিমান ভয়াবহ হবে বলতে বলতে কয়েকজনের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। মুহুর্তের মধ্যে ওই শালিসী সভায় থাকা ৫০/৬০ জন ব্যক্তি জীবন ভয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। পরে উক্ত ঘটনা জানাজানির পর পার্শ্ববর্তী নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস,আই রকিবুজ্জামানের নেতৃবৃন্দে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। উক্ত শালিসী সভায় ফাঁকা গুলি চালানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে একাধিক ব্যক্তি নিশ্চিত করলেও দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সুবোধ সরকার এবং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রকিবুজ্জামান তা এড়িয়ে গিয়ে অস্বীকার করেন। তবে তারা শিকার করেছেন উক্ত শালিসী সভায় মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের প্রবেশ ও হামলার কথা। দূর্বাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সরদার বাহাদুল আলী জানান, শালিসী সভায় হামলার ঘটনা শুনেছি, কিন্তু কোন গুলি করার কথা আমি শুনিনি। তিনি আরো জানান, উক্ত ঘটনায় পুনরায় শালিস করে মিমাংসা করা হবে মর্মে গ্রামবাসীকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, এলাকায় অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু তা গোপন রেখে রাজনীতি ও ব্যবসা করছে অনেকেই। জানাযায়, ওই এলাকায় সম্প্রতি কালী পূজা দেখাকে কেন্দ্র মৃনাল গোলদারের পুত্র বিদ্যুৎ গোলদার একই এলাকার তপন বিশ্বাসের পুত্র ইন্দ্রজিৎকে মারপিট করে। আর এ ঘটনার জের ধরে কুশখালী মন্দিরের সামনে অনুষ্ঠিত শালিসী সভায় ৪/৫জন ছাড়া সভায় বিদুৎ কে দায়ী করেন। স্থানীয় অনেকেই জানান, উক্ত ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে ভীতি ও অজানা অতংক বিরাজ করছে। একাধিক সূত্রে জানাযায়, দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গুলির বেশির ভাগ এলাকায় অনেক আগে থেকেই অপরাধী দলের আনাগোনা রয়েছে।