ঢাকামঙ্গলবার , ১৫ মার্চ ২০১৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের বাঁধা দলীয় কোন্দল, বিএনপি’র গলার কাঁটা জামায়াত

admin
মার্চ ১৫, ২০১৬ ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের মণিরামপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ের পথে আওয়ামীলীগের বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে দলীয় কোন্দল। অন্যদিকে, বিএনপির জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াতের প্রার্থী।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানাগেছে, নির্বাচন কমিশনের তফশীল অনুযায়ী প্রথম বারের মত দলীয় মনোনয়ন এবং প্রতীকে নির্বাচনে ছয়টি ধাপের প্রথম ধাপে যশোরের মণিরামপুরে আগামী ২২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সে মোতাবেক অত্র উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮নং হরিহরনগর ইউনিয়নে হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন বন্ধ হওয়ায় বাকি ১৬ টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। যার মধ্যে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনিত ১৬ জন করে প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামীলীগের ৪ জন ও বিএনপির ২ জন প্রার্থী বিদ্রোহী প্রার্থী এবং জামায়াতের ১০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এবার দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে প্রথম বারের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিতব্য হলেও তৃণমূল পর্যায়ে ভোটের হিসাব-নিকাশ ইতিপূর্বে দলীয়ভাবেই হয়ে আসছে বলে জানাগেছে।
মণিরামপুর উপজেলায় সংখ্যালঘূ (হিন্দু) সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে আওয়ামীলীগের একক ভোট ব্যাংকের পরিচিতি থাকলেও দলীয় কোন্দলের কারনে বিগত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের শোচণীয় পরাজয় ঘটে। ওই নির্বাচনে ১৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২ টিতে জয়লাভ করে বিএনপি সমার্থিত প্রার্থীরা, ৩ টিতে আওয়ামীলীগ ও ২টি ইউনিয়নে জামায়াত সমার্থিত প্রার্থী জয়লাভ করে। এবার নির্বাচনে ১৬ টি ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী ছাড়াও ৪ জন আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। তাছাড়া আ‘লীগ বর্তমানে ক্ষমতাসীন হওয়ায় নেতাকর্মীদের দলীয়ভাবে অবমূল্যায়ন, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নিকেষ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নানাবিধ কারনে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের আশানুরুপ ফল নাও হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৭ নং খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী আব্দুল আলীম (জিন্নাহ) ও আ’লীগের বিদ্রোহী হিসেবে সরদার মুজিবুর রহমান নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ৫ নং হরিদাসকাটি ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী বিপদ ভঞ্জন পাড়ে ও আ’লীগের বিদ্রোহী হিসেবে স্বদেশ সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ১১ নং চালুয়াহাটী ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী আবুল ইসলাম ও আ’লীগের বিদ্রোহী হিসেবে আব্দুল হামিদ সরদার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছে ১০ নং মশ্বিমনগর ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, জেলা বিএনপির নেতা এড. আব্দুল গফুরের ধানের শীষের পক্ষে প্রকাশ্যে সভাসমাবেশ ও প্রার্থী নিয়ে গণসংযোগ করে আলোচনায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক পিএস-১ ও সদ্য বিদায়ী শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান (এন,আই খান) এর ভাই শাহারিয়ার কাবিল খান। সয়ং প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ব্যাক্তির ভাইয়ের নৌকার বিপক্ষে শক্ত প্রচারণা সাধারন ভোটারদের মাঝে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে এলাকার সচেতন অনেকেরই ধারণা।
অপরদিকে, বিএনপি গেল নির্বাচনে জোটগতভাবে নির্বাচন করার কারনে ভালো ফলাফল করলেও এবার ২ জন বিদ্রোহী প্রার্থী ও ১০ ইউনিয়নে জামায়াত এককভাবে (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ফলে এবার নির্বাচনে বিএনপির চরম ভরাডুবি হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ৬ নং মণিরামপুর সদর ইউনিয়ন নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক বিএনপি মনোনিত প্রার্থী হলেও ওই ইউনিয়নে অধ্যাপক আহসান হাবিব (লিটন) জামায়াত মনোনিত (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ৪ নং ঢাকুরিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বিএনপি মনোনিত প্রার্থী হলেও ওই ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন জামায়াত মনোনিত (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
ফলে বড় দুই দলের জয়ের পথে বাঁধা আ’লীগের দলীয় কোন্দল ও বিএনপির জন্য জামায়াত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা তুষার কান্তি মিত্র দুলু বলেন, আওয়ামলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন না। জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীকেই জনগন ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। বিএনপি নেতা আব্দুল হাই বলেন, জনগন যদি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন তাহলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।