বিশেষ প্রতিনিধি:
যশোরের মণিরামপুরে বৈশাখী মেলায় যুবলীগ কর্মী রাজু আহম্মেদ হত্যার ঘটনায় জট খুলতে শুরু করেছে। মাদক ব্যবসা ও পরকীয়ার ঘটনা প্রকাশ করায় নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসির ধারনা।
জানাযায়, শুক্রবার রাতে উপজেলার মশ্বিমনগর ইউনিয়নের নোয়ালী গ্রামে বৈশাখী মেলায় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের সংবর্ধনা চলাকালে অনুষ্ঠান স্থলের পাশেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় যুবলীগ কর্মী রাজুকে। ঘটনার আগে সংবর্ধনা মঞ্চের সামনে চেয়ারে বসে ছিলো রাজু আহম্মেদ। এসময় স্থানীয় বখাটে রিপন হোসেন ও এমরান তাকে জোর পূর্বক চেয়ার থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় মঞ্চের পাশেই। এর কিছুক্ষণ পর রাজুর আত্ম চিৎকারে লোকজন ছুটে গিয়ে মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর আড়াই’শ শস্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সূত্র জানায়, ওই এলাকার বখাটে হিসেবে চিহ্নিত রিপন হোসেন ও এমরান দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছে। কিছুদিন ধরে রিপন স্থানীয় এক এনজিও কর্মীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ওই এনজিও কর্মীর স্বামী ঢাকায় থাকার সুবাদে তারা একসাথে অনেকটা প্রকাশ্যেই এলাকায় চলাফেরা করতে থাকে। সম্প্রতি রাজু তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে কথা বলে এবং ওই এলাকায় আর যাতে মাদক ব্যবসা না করা হয় তার জন্য রিপনকে সর্তক করে। এরপর রিপনের সাথে রাজুর কয়েক বার বাকবিতান্ড হয়। এঘটনার জের ধরেই মূলতঃ অনুষ্ঠান স্থল থেকে রাজুকে ডেকে নিয়ে যায় রিপন ও এমরান। রিপন ও এমরানের কুকর্ম এলাকাবাসি জেনে ফেলতে পারে সেই আশংকাই তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে এলাকাবাসির ধারনা।
এদিকে রাজু আহম্মেদ হত্যার ঘটনায় তার পিতা গোলাম মোস্তফা বাদি হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।