ঢাকারবিবার , ২১ আগস্ট ২০১৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টানা বর্ষনে মণিরামপুরের নতুন এলাকা প্লাবিত : আতংকিত বানভাসীরা : অপর্যাপ্ত ত্রাণ

Tito
আগস্ট ২১, ২০১৬ ৩:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
টানা বর্ষনে মণিরামপুরের বন্যা কবলিত এলকায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে। কয়েক হাজার পানি বন্দি পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। পানিতে প্লাবিত হওয়ায় মণিরামপুর উপজেলার ৪৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ভবদহ স্লুইচ গেট দিয়ে পানি নিস্কাশিত না হওয়ায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) বাস্তবায়ন না যশোর ও খুলনা জেলার মণিরামপুর, কেশবপুর, অভয়নগর, ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলার ২৭ বিলের পানি ভবদহ স্লুইসগেট দিয়ে নিষ্কাশিত হচ্ছে না। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, আকাশ বন্যায় প্রাথমিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২শ’৩০ কোটি টাকা । শিঘ্রই ভবদহ স্লুইচ গেটের সামনে পলি সরিয়ে পানি প্রবাহ সৃষ্টি করা না হলে এসব এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশংকা রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্শকর্তা লুৎফর রহমান জানান, বন্যায় মাছের ঘের প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ১শ’৭৭ কোটি টাকা, কৃষি ক্ষেত্রে ৫৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ৪৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া ছাড়াও ৬’শ ৫০ টি কাঁচা-পাকা ঘর ও ২৬ টি মসজিদ-মন্দির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ২৭ বিলের আকাশ বৃষ্টির পানি ভবদহ স্লুইস গেট দিয়ে নিস্কাশিত হয়। ১৯৮৬ সালে স্লুইস গেটে পলি জমে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভবদহ অঞ্চলের বিলপাড়ের শ্যামকুড়, চিনাটোলা, আমিনপুর, চালুয়াহাটী, ঝাপা, কুলটিয়া, মশিয়াহাটি, মহিষদিয়া, পোড়াডাঙ্গা, সুজাতপুর, ডুমুরতলা, হাটগাছা, শ্যামকুড়, হরিদাসকাটি, দূর্বাডাঙ্গা, নেহালপুর, হাজিরহাট, ঢাকুরিয়া সুন্দলীসহ কয়েক’শ গ্রামের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে। এবারো একই অবস্থা দেখা দিয়েছে সেখানে। সরেজমিনে দেখাগেছে, ভবদহে স্লুইচ গেটের সামনে নদী ও খালের মধ্যে বৃহৎ অংশ জুড়ে পলি জমে ৭/৮ ফুট উঁচু হয়ে গেছে। আর গেটের পিছনে বিল সংলগ্ন অংশ তা থেকে ৫/৬ ফুট নিচু। ইতোমধ্যে ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ইতোমধ্যে শুধু মণিরামপুর উপজেলায় ১১ হাজার ৭’শ ৫০ হেক্টর আমন, আউশ, সবজি ও মরিচের ক্ষেত, প্রায় ৫ হাজার হেক্টর মাছের ঘের আকাশ বন্যায় প্লাবিতসহ অর্ধশত ৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ভবদহ স্লুইচ গেট দিয়ে পানি নিস্কাশিত না হওয়ায় এবং উজানের ঢলে প্রতিদিন পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এলাকায় অধিকাংশ টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। একই সাথে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। সরকারের প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ জনপ্রতিনিধীরা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করলেও নেই পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীর সরবরাহ। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু বলেন, সরকারের কাছে মণিরামপুরকে বন্যা দূর্গত এলাকা ঘোষনার দাবির পাশাপাশি কবলিত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। স্থানীয় বানভাসীদের জন্য শীঘ্রই পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ও কবলিত এলাকার পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে যে কোন সময়ে আন্দোলনে নামতে পারে দূর্গত মানুষ।

 

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।