ঢাকারবিবার , ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে বানভাসি ৫ হাজার পরিবারের ঈদ কাটবে রাস্তায়-আশ্রয়কেন্দ্রে : বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত

Tito
সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬ ৪:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

8801716833434মনিরুজ্জামান টিটো :
ভবদহ অঞ্চলের স্থায়ী জলবদ্ধতার কারণে যশোরের মণিরামপুরের বন্যা কবলিত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া ৫ হাজার পরিবারের মানুষের বাড়ী ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে এসব বানভাসি মানুষের ঈদ কাটবে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ও রাস্তায়। এসকল অঞ্চলের ঈদের নামাজও পড়তে হবে রাস্তা বা সম্ভাব্য কোন উঁচু জায়গায়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, কপোতাক্ষ, হরিহর, মুক্তেশ্বরী, টেকা ও শ্রী-হরি নদীর উজানের পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও ভবদহের জলবদ্ধতার পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্যামকুড়, মশ্মিমনগর, হরিহরনগর, হরিদাসকাটি, কুলটিয়া ও মনোহরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি। এদের মধ্যে অন্তত: ২০ হাজার ৪শ’ মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তার দু’ধারে, সম্ভাব্য উঁচু স্থানে, ইউনিয়ন পরিষদ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। গত একমাস ধরে পানিবন্দি এই মানুষগুলো ঘরবাড়ি ছাড়া হলেও ঈদের আগে তাদের বাড়ি ফেরার কোন সম্ভাবনা নেই। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাস্তায় বা আশ্রয়কেন্দ্রে কাটবে বানভাসি ৫ হাজার পরিবারের মানুষের ঈদ। শ্যামকুড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া রোজিনা বেগম জানান, গত একমাস ধরে পরিবারের ৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছি। চারদিক ডুবে গেছে কাজকাম নেই, যা ত্রাণ পাচ্ছি তাই দিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো খাচ্ছি। আমাদের আবার ঈদ। একই অভিব্যক্তি জানালেন যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ফকির রাস্তা এলাকায় রাস্তায় আশ্রয় নেয়া গৃহবধূ আফরোজা খাতুন। তবে মণিরামপুরের বানভাসি মানুষগুলোর সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে বিভিন্ন সংগঠনসহ বিত্তবানরা এগিয়ে আসছেন। শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ঈদের আগে বানভাসি মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ী ফেরা সম্ভব নয়। ফলে ঈদ কাটবে আশ্রয় কেন্দ্রে কিংবা রাস্তায়। অত্র ইউনিয়নের ১০ টি ঈদগাহ পানিবন্দি হওয়ায় সেখানে এবার ঈদের নামাজ পড়া সম্ভব হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ঈদ উপলক্ষে সকল বানভাসিদেরকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া শুরু হয়েছে। ঈদের আগে ৫শ’ পরিবারকে আলু, তেল, মসলা, পেয়াজ, রসুন দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও ৩ শ’৩০ জন মেয়ে শিশুকে জামা-কাপড় দেওয়া হবে। এছাড়া সামার্থহীনদের মাঝে মাংসও বিতরণ করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু জানান, বন্যার্তরা এবার রাস্তা বা আশ্রয় কেন্দ্রে ঈদ ঊদযাপন করবে এটা খুবই বেদনা দায়ক। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি ঈদ উপলক্ষ্যে তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরনের।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।