ঢাকাবুধবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুরে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অফিসে ঘুমিয়ে থাকেন শিক্ষক মোয়াজ্জেম :: শাস্তি দাবি সচেতন মহলের

Tito
অক্টোবর ১৯, ২০১৬ ২:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ  প্রতিনিধি ঃ
মণিরামপুরের ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অফিস কক্ষে ঘুমিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় কর্তপক্ষসহ নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে তিনি এভাবেই অফিসে ঘুমিয়ে থাকেন। প্রতিবাদ করলে তিনি প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ করেছেন প্রাধান দীলিপ কুমার পাল। আর স্কুল টাইমে ঘুমিয়ে থাকার কথা স্বীকার করেছেন জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন।
১৯৯৭ সালে সহকারি শিক্ষক হিসাবে ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদেন জামায়াত নেতা এই শিক্ষক মোয়াজ্জেম। তখন থেকে বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন তিনি। এছাড়া তিনি স্কুল প্রধানের কোন কথায় তোয়াক্কা না করে চলেন নিজের মত। ক্লাস নেনও ইচ্ছামত। মন চাইলে ক্লাসে যান,আর না হয় বসে থাকেন অফিসে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে তিনি ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করেন রাজনৈতিকভাবে। এভাবে তিনি দিন দিন স্বেচ্ছাচার হয়ে ওঠেন। মঙ্গলবার স্কুল চলাকালিন সময়ে তিনি ক্লাস না নিয়ে অফিসে ঘুমিয়ে পড়েন। যা স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লার মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ ছবিটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন এবং তিনি স্ট্যাটাসটিতে লেখেন ‘ধলিগাতী হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক মো:মোয়াজ্জেম হোসেন বিদ্যালয় চলাকালিন সময় নিদ্রা দেবীর কোলে আছেন, বাড়ীতে সময় পান না।’ যা উপজেলাব্যাপি ব্যাপক সাড়া জাগায়। হাবিবের ফেজে অনেকে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে কমেন্ট করেন। অবশ্য অনেকে এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অবহেলা রয়েছে বলে মনে করেন। পরে অবশ্য শিক্ষক হাবিব পোষ্টটি তুলে ফেলেন। এই ব্যাপারে শিক্ষক হাবিবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করতে গেলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। শিক্ষক মোয়াজ্জেমের সাথে মোবাইলে আলাপকালে তিনি স্কুল চলাকালিন চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়ার কথা স্বীকার করে রিপোর্ট না করার জন্য অনুরোধ করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীলিপ কুমার পাল শিক্ষক মোয়াজ্জেমকে বেয়াদব বলে আখ্যায়িত করে বলেন, মোয়াজ্জেম আমার বিরুদ্ধে বাইরে ষড়যন্ত্র করে। তিনি তার শাস্তি দাবি করেন। আপনি স্কুলে থাকা অবস্থায় শিক্ষক কিভাবে ঘুমিয়ে থাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্কুলে ওই সময় মেহমান ছিলো। তবে এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি ইউএনও কামরুল হাসান। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখব। এদিকে জামায়াত অধ্যুষিত ঔই এলাকায় মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগতো দুরের কথা, মুখ খুলার সাহস রাখেনা কেউ। বিষয়টি স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সৃদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।