ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩ নভেম্বর ২০১৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের প্রার্থীদের নাম শোনা গেলেও বিএনপি চুপচাপ

Tito
নভেম্বর ৩, ২০১৬ ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতির মাঠে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। সাধারণ মানুষের মাঝে জন্মেছে নানা কৌতুহল। কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সারা দেশের ন্যায় যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো সরব হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। এই পদকে ঘিরে যশোরে শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম। তবে আওয়ামী লীগের মধ্যে এ পদের নির্বাচনে আগ্রহী কয়েকজন নেতার নাম আলোচনায় থাকলেও বিএনপি আছে একদম নিশ্চুপ। তবে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী আওয়ামী লীগের যে কয়েকজন নেতাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ। এ ব্যাপারে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে সমর্থন দিবেন বলে আশাকরি। দলীয় সভানেত্রী তাকে মনোনয়ন দিলেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন। যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ জানান, দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লড়বেন। তবে এখনও তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেননি। তবে যশোর সদরের এমপিসহ জেলার আরো ২/৩ জন এমপি ও জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরা তাকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে তিনি এ পদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এখন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে মনোনয়ন দেন তাহলে তিনি এই পদে লড়বেন। উল্লেখ্য যশোর শহর থেকে শহরতলী পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত মোহিত কুমার নাথ। বন্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৬৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করছেন সুনামের সাথে। এমনকি রাজনৈতিক মামলায় জেল খেটেছেন কয়েকবার। দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে যশোরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছেন ওতপ্রোতভাবে। ১৯৬৮ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের পর ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহনের মধ্যদিয়ে যশোরের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা মোহিত কুমার নাথ একে একে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, জেলা কমিটির সদস্য এবং ২০০৪ সাল থেকে অদ্যবধি যশোর সদর উপজেলার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়ার তিনি ১টি কলেজ ও ২টি স্কুলের সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। সে কারণে যশোর আওয়ামীলীগ ও তৃণমুল নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা মনে করে তিনি জেলা পরিষদ প্রশাসকের দলীয় মনোনয়ন ও দায়ীত্ব পেলে যশোরের প্রভুত উন্নতি সাধিত হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ে আব্দুল মজিদ জানিয়েছেন, এই নির্বাচন নিয়ে তিনি প্রথমে আগ্রহী না থাকলেও পরে যশোরের মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুরোধে প্রার্থী হতে আগ্রহী হয়েছেন এবং দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। এখন দল মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচনে থাকবেন। দেশে প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে জেলার ৮টি উপজেলা, ৮টি পৌরসভা ও ৯৩ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা গোপন ব্যালটে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত করবেন। ওয়ার্ড সীমানা নির্ধারণ করে গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে। এ নির্বাচন করার জন্যে ৬ অক্টোবর আইন সংশোধন করে সংসদে বিল পাশ হয়। ২০০০ সালে জেলা পরিষদ আইনে পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তের বিধান ছিল না। নতুন আইনে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিাযোগপত্র গৃহিত হওয়ার সাময়িক বরখাস্তের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া আগের আইনে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। এখন তারা ভোট দিতে পারবেন। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার জানিয়েছেন এখানো অফিসিয়াল কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।