বিশেষ প্রতিনিধিঃ
“সোনালী দিনের টানে, এসো মিলি মনে প্রাণে” এই শ্লোগানকে ধারন করে মণিরামপুর কলেজের ৫০ তম বর্ষ পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের মুল পর্বের শুভসূচনা করেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মণিরামপুর-কেশবপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এড. পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য। এর আগে পৌরশহরে বর্ণাঢ্য র্যালী, কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয়, কলেজের ও সূর্বণ জয়ন্তীর পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়। র্যালীতে প্রাত্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহন করেন। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অত্র কলেজের প্রাত্তন ভাইস প্রিন্সিপাল ও অনুষ্ঠানের উদ্বোধক এড. পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য। অত্র কলেজের স্মৃতিচারনকালে তিনি বলেন, এই কলেজেই এসে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে ছিলেন। দিয়েছিলেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন। নৌকা প্রতীক নিয়ে সেদিন মণিরামপুর-কেশবপুর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। এই কলেজের একজন প্রভাষক হিসেবে আমার কর্ম জীবন শুরু হয়েছিলো। আজ সেই কলেজেরই সুবর্ণ জয়ন্তীতে উদ্বোধক হিসেবে আসতে পেরে আমি সত্যিই অভিভুত। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছিলো প্রখর স্মৃতিশক্তি। যখই তার সামনে যেতাম, তখই তিনি এই কলেজের খোঁজ খবর নিতেন। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই কলেজটিকে জাতীয় করনের তালিকাভুক্ত করায় মণিরামপুরবাসী আজ শেখ হাসিনার কাছে চিরঋণী হয়ে গেল। আমরা তার প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কলেজ পরিচালানা পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. আব্দুস সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী মাহমুদুল হাসান, সাবেক মেয়র ও বিএনপি সভাপতি এড. শহীদ ইকবাল হোসেন, কলেজ অধ্যক্ষ জি,এম রবিউল ইসলাম ফারুকী প্রমূখ। বিকেলে কলেজের প্রাত্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ শনিবার একই মঞ্চে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান।