ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৭ জুলাই ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্লাবিত মণিরামপুর, দিশেহারা মানুষ, ৫৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, চরম সংকটে গো-খাদ্য

Tito
জুলাই ২৭, ২০১৭ ৪:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি: 

কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ও উজানের চাপে যশোরের মণিরামপুরের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত: ৩০ হাজার মানুষ। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে ৪ হাজার মানুষ। ভেসে একাকার হয়ে গেছে মৎস্য ঘের। আধাপাকা কাঁচা ঘর বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছে। নিম্মজিত হয়ে আছে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেখা দিয়েছে মানুষ ও গোÑখাদ্যের অভাব। সাপ-পোকা মাঁকড় আর পানির সাথে টিকে থাকতে না পেরে অবশেষে ঠাঁই নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে। জানা যায়, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ও উজানের চাপে উপজেলার ভবদহ ও কপোতাক্ষ উপকুলের নিন্মাঞ্চলের শ্যামকুড়, খাঁনপুর, চালুয়াহাটি, কুুলটিয়া, হরিদাসকাটি, নেহালপুর, দূর্বাডাঙ্গা ও মশ্মিমনগর ইউনিয়নের অন্তত: অর্ধাশতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার ১৩৪৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে নিম্মজিত হয়ে আছে, যার ক্ষতি কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা। মৎস্য অফিস জানায়, উপজেলার ৩৮০ হেক্টর জমির ৪৬৩টি মৎস্য ঘের ভেসে একাকার হয়ে গেছে, যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৬ কোটি টাকা। উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, উপজেলার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার অন্তত: ৫৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে নিম্মজিত হয়ে পাঠদান বন্ধ হয়ে আছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল হক জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ১৯টি গ্রামের মধ্যে অন্তত: ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে আড়াই হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে, ওই ইউনিয়নের আমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিনাটোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাগোরঘোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এবং ফকিরাস্তা এলাকার যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের দু’ধার দিয়ে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, গত বছরের ন্যায় এবারও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার এলাকা। চরম সংকট দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যে ও মানুষের খাদ্যের। সর্বত্র পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কোন কাজ কর্ম না থাকাতে দূর্বিসহ এবং মানবেতর জীবন যাপন করছে অত্র ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষ। কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় জানান, ইউনিয়নের হাটগাছা, সুজাতপুর ও বাজেকুলটিয়া গ্রামের অধিকাংশ বসতবাড়ী ও মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পাশ্ববর্তী হরিদাসকাটি, ঢাকুরিয়া ও নেহালপুর ইউনিয়ন সম্পূর্ণ রুপে তলিয়ে যাবে। কুলটিয়া ইউনিয়নের মৎস্য চাষী মিহির বিশ্বাস জানান, গত বছরের বন্যার ধাক্কা কেটে ওঠার আগেই নতুন করে এবারের বন্যায় মৎস্য চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মৎস্য চাষীরা ঋণ দেনার চাপে দেউলিয়া হয়ে পড়বে। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) লিংকন বিশ্বাস বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।