ঢাকাশনিবার , ১৯ আগস্ট ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক মনিরামপুরের সাবেক এমপি টিপু সুলতানের জীবনাবসান

Tito
আগস্ট ১৯, ২০১৭ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ  প্রতিনিধি:

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতান মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শনিবার রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। টিপু সুলতান হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন।

টিপু সুলতানের ভাগ্নে জাকির হোসেন জানান, প্রচণ্ড জ্বরের কারণে গত মঙ্গলবার সকালে টিপুকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার যশোরস্থ নিজ বাসভবনে জ্বরে আক্রান্ত হন টিপু সুলতান। ঘরের ডাইনিং রুমে অসতর্কবশত পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান তিনি। পারিবারিক চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামানের পরামর্শে মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওইদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষণ ধরা পড়ে এবং সেখানেই দ্রুত অস্ত্রোপচার করা হয়।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী খান টিপু সুলতান যশোর-৫ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯৬৬ সালে মাত্র দশম শ্রেনীতে পড়াকালীন যশোর শহর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হয়েছিলেন। ঠিক ১ বছর পর ১৯৬৭ সালে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে সা:সম্পাদক হয়েছিলেন বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের। উনসত্তরের গনঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বৃহত্তর যশোর জেলায়, একইভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই ছাত্রনেতার অন্যতম নেতৃত্ব যশোরকে দেশের প্রথম স্বাধীন জেলার স্বীকৃতি এনে দিয়েছিল। ৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী যুবলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন,পরবর্তীতে ৮০ সালে যুবলীগের প্রেসিডিয়ামের মেম্বার হয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে যশোরের রাজনীতিতে থাকার পরামর্শ দিয়ে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনিত করেছিলেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে হত্যার পর ঢাকায় গ্রেফতার হয়ে ৪৮ মাস ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন টিপু সুলতান। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাঃ সম্পাদক ও ১৯৯৫ সালে সভাপতি হয়েছিলেন।
১৯৯১ থেকে ৯৬, ১৯৯৬ থেকে ০১, ২০০৮ থেকে ১৩ পর্যন্ত যশোর-৫ মনিরামপুর আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে ৫ম,৭ম ও ৯ম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ৫ জানুয়ারি জয়লাভ করলেও ৬২ টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দিয়েছিল জামাত বিএনপি,পরবর্তীতে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ভোটে বিএনপি জামাত সারাদেশে ভোট বর্জন করলেও মনিরামপুরে অংশগ্রহণ করে নৌকা পরাজিত করে।
সুপ্রিম কোর্টের এ্যাপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান বৃহত্তর যশোর বিভাগ আন্দোলনের সুযোগ্য সভাপতি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খান টিপু সুলতান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।