ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ ডিসেম্বর ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুরে ধানের শীষের প্রার্থী মুফতি ওয়াক্কাস পলাতক, মূল লড়াইয়ে নৌকা-ট্রাক

Tito
ডিসেম্বর ২০, ২০১৮ ৮:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি।।

যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস পলাতক রয়েছেন। ভোটের মাত্র ক’দিন বাকি থাকলেও এখনো তাকে মাঠে দেখা যায়নি। গ্রেপ্তারের ভয়ে তিনি আত্মগোপনে আছেন। বিএনপি ও জামায়াত জোটের নেতা–কর্মীরাও তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এবারের নির্বাচনে বিএনপি শেষ সময়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। হেলিকপ্টারে করে সেই মনোনয়ন যশোরে এনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু পরে কেন্দ্রীয় বিএনপি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকেই ধানের শীষ প্রতীকের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়। ক্ষোভে বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় তিন হাজার নেতা ও সদস্য গণপদত্যাগ করেন। এদিকে জামায়াতে ইসলামী থেকে জেলা কমিটির শুরা সদস্য গাজী এনামুল হক ধানের শীষ প্রতীক চেয়ে বঞ্চিত হন। নিজেদের দলের প্রার্থী না থাকায় উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের কোনো নেতা–কর্মী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে এখনো মাঠে নামেননি। এমনকি ওয়াক্কাসের নিজের দলের নেতা–কর্মীও মাঠে নামেননি।
প্রতীক বরাদ্দের দিন ৯ ডিসেম্বর ওয়াক্কাসের ছেলের গাড়িতে দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
মুহাম্মদ ওয়াক্কাস হলফনামায় ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি মামলায় জামিন বাতিল হয়েছে।
মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের ছেলে ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মুহাম্মদ রশিদ আহমেদ বলেন, আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। যে কারণে তাঁর বাবা আত্মগোপনে রয়েছেন। নিজের ভোট দিতে আসতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনছার উদ্দীন বলেন, ‘মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের তিনটি মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশের খাতায় তিনি পলাতক।’

এদিকে ধানের শীষের মনোনয়ন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রার্থীর পলায়নের সুযোগে শক্ত অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী আলহাজ্ব কামরুল হাসান বারীর। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। এবারও চেয়ে ছিলেন। কিন্তু গত দশম সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত স্বপন ভট্টাচার্য্যকে এবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় কামরুল হাসান বারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।

সার্বিক বিশ্লেষনে দেখা যায়, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য্য বিরোধী মোর্চা ও বিএনপি জামায়াতের জোট শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্রপ্রার্থীর বলয়ে পৌঁছাতে পারে। এতে করে মুল লড়াই হচ্ছে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা ও বিদ্রোহীর ট্রাক প্রতীকের মধ্যে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।