ঢাকাসোমবার , ২৪ জুন ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে ইজিপিপি প্রকল্পে হরিলুট, শ্রমিক তালিকায় বিত্তবানদের নাম

Tito
জুন ২৪, ২০১৯ ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি:

মণিরামপুরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি বা ইজিপিপিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় স্থান পেয়েছে মহিলা ইউপি সদস্যর স্বামীর নামসহ বিত্তবানদের নাম। তালিকায় নাম রয়েছে দোতলা বাড়ির মালিকেরও।

অভিযোগ করা হচ্ছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের প্রত্যক্ষ মদদে ৪০ দিনের কর্মসূচির তালিকায় এসব নাম ঢুকেছে। তালিকায় স্থান পাওয়াদের অনেকেই কাজে অংশ না নিলেও কাজ শেষে নির্ধারিত মজুরি ঠিকই উঠছে তাদের নামে। আর সেই টাকা ভাগবাটোয়ারা হয় অনেকের নামে।

প্রকাশ্যে কর্মসূচিতে এমন অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও তা দেখার যেন কেউ নেই।

সোমবার সরেজমিন উপজেলার মাসনা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডে ৬৬ জন শ্রমিকের বিপরীতে কাজ করছেন ৫৯ জন। বাকি সাত জন শ্রমিক কাজের প্রথম থেকেই অনুপস্থিত। এই সাত শ্রমিকের মধ্যে নজরুল ইসলাম নামটি স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য হাজিরা বেগমের স্বামীর। বাকি ছয় ভূয়া শ্রমিকের নামের মধ্যে দুইটি নাম ইউপি সদস্য ইদ্রিসের দেওয়া। আবার পিআইও অফিসের দেওয়া ভূয়া নামও রয়েছে সেই তালিকায়।

কাজের সর্দার আব্দুস সালাম মোল্লা বলেন, শুরু থেকে সাত জন কাজে আসেন না। তাদের নাম পিআইও অফিস জেনে গেছে।

তবে সরদারের কথা মানতে নারাজ উপস্থিত শ্রমিকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে কর্মসূচিতে কাজ করছি। যারা কাজে আসে না, অফিসের লোকজন বলে ওরা বিল পাবে না। শেষে দেখি ওদের নামেও বিল ওঠে। সেই টাকা আবার ভাগবাটোয়ারা হয়।

গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আপনারা এসে কি করবেন। লিখলেও কোন কাজ হবে না। অফিসের লোক জড়িত এর সাথে। ওনারা ঠিক থাকলে বিল ঠিকই উঠে যাবে।

জানতে চাইলে মহিলা ইউপি সদস্য হাজিরা বেগম বলেন,‘ গরিব বলে স্বামীর নামটা দিয়েছি। ওনি আগে কাজ করত। এখন করেন না।’

ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, ‘কর্মসূচির কাজে আমার কোন কর্তৃত্ব নেই।’

এদিকে উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের কোদলাপাড়া ওয়ার্ডে কর্মসূচির তালিকায় এনামুল নামটি দোতলা বাড়ির মালিকের ছেলের। তাছাড়া তিনি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত সভাপতিও। এমন ব্যক্তির নাম কর্মসূচির তালিকায় আসায় স্থানীয়ভাবে তা ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। বহু আগ থেকে কাজ না করে এই নামে কর্মসূচির বিল উঠছে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, এনামুল কাজে না আসায় তার নামটি বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’ যদিও চলতি প্রকল্পে এই কাজের মেয়াদ আছে মাত্র ১০ দিন।

মণিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, মহিলা মেম্বরের স্বামীর নাম বা ধনাঢ্য কারও নাম তালিকায় আসার নিয়ম নেই। কর্মসূচির তালিকা প্রস্তুতের সময় সব যাচাই করা সম্ভব হয় না। অভিযোগ আসলে পরে তা বাদ দেওয়া হয়। আর যারা কাজ করে না,তারা বিল পাবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, অভিযোগ যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।