বিশেষ প্রতিনিধি ॥
জোর করে কেউ স্বামীর ভিটা থেকে উচ্ছেদ করেনি। উপযুক্ত মূল্যে মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের হরেন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে পবিত্র বিশ্বাসকে লিখিতপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি বিক্রিকৃত সমুদয় স্থাপনা পবিত্রকে বুঝে দেয়া হয়। এ নিয়ে স্থানীয় হরিচাদ, রমেশসহ একটি কু-চক্রীমহল ষড়যন্ত্র করে নানা অপ-প্রচার চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে মণিরামপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন একই গ্রামের সুপেন মল্লিকের স্ত্রী তাপসী রানী মল্লিক।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, স্বামীর পৈত্রিক সূত্র ধরে বহু বছর ধরে সেখানে তারা বসবাস করে আসছে। কঠোর পরিশ্রমকৃত রোজগারের টাকা দিয়ে পাকা বাড়ি, গোয়ালঘরসহ প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মান করা হয়। এসব স্থাপনা ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে করে হরিচাঁদ, রমেশসহ স্থানীয় কয়েকজনের। বিভিন্ন সময় এসব স্থাপনা এক প্রকার বিনামূল্যে দাবি করে আসছিলো হরিচাঁদ, রমেশগংরা। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় তাকে ও তার স্বামীকে কয়েকবার মারপিট করেছে বলে তিনি দাবি করেন। তাদের প্রতিনিয়ত হুমকির মূখে তারা ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে বসবাস করে আসছিলেন। উপায়ন্তর না পেয়ে সম্প্রতি সেই দখলীয় বসতঘরসহ আসবাবপত্র একই গ্রামের হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে পবিত্র বিশ্বাসের কাছে বিক্রি করা হয়। যা উভয় পরিবারের মধ্যে রেকর্ড হিসেবে লিখিতপত্র রয়েছে। এতদ্বসত্ত্বে ওই এলাকার হরিচাঁদ, রমেশগংরা তাদের (তাপসী) উচ্ছেদ করে তাড়িয়ে জোর করে বসতঘর পবিত্র বিশ্বাস দখল করে নিয়েছে বলে অপ-প্রচার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার হীন অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট ও হীনস্বার্থে করা বলে তিনি দাবি করেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক সত্য ঘটনা উন্মোচন করতে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন তাপসী রানী মল্লিক।