বিশেষ প্রতিনিধি॥
শেষ রক্ষা হলোনা সেই সাব রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহের। কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে ঘুষের টাকাসহ আটক সাব-রেজিস্ট্রার যশোরের মনিরামপুরের সুব্রত কুমার সিংহকে এবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। কুষ্টিয়ার জেলা রেজিস্ট্রার প্রভাকর সাহা বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। বরখাস্তকৃত সাবরেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান দূর্গাপদ সিংহের বড় ছেলে।
জানাযায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় কর্মরত থাকার সময় সাব-রেজিস্ট্রার মনিরামপুরের সুব্রত কুমার সিংহ ও তার অফিস সহকারি রফিকুল ইসলামকে গতবছর ৭ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত টিম অভিযান চালিয়ে অফিস কক্ষে ঘুষ লেনদেনের সময় এক লাখ চার হাজার চার’শ টাকাসহ তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে। কুষ্টিয়ার সমন্বিত জেলা দুদক কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পার্থ প্রতীম শীল, কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিনসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক।
পরবর্তীতে আদালত তাদের দুজনকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। প্রায় এক মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে সুব্রত কুমার সিংহ স্বপদে যোগদান করেন। কিন্তু চাকরিতে যোগদান করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহ গ্রেফতার ও কারাগারে আটক থাকায় সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৩৯ (২) ধারা মোতাবেক আটকের তারিখ হতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৬ কর্তৃক সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) গোলাম সারওয়ার ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি ওই সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এর আগে অফিস সহকারী রফিকুল ইসলামও সাময়িক বরখাস্ত হন। কুষ্টিয়ার জেলা রেজিস্ট্রার প্রভাকর সাহা সাংবাদিকদের কাছে বরখাস্তের সত্যতা স্বীকার করেন। অবশ্য এ ব্যাপারে জানার জন্য সুব্রত কুমার সিংহের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে সুব্রত সিংহের ছোটভাই দেবাশীষ কুমার সিংহ সাংবাদিকদের কাছে সাময়িক বরখাস্তের সত্যতা স্বীকার করেন।