ঢাকাসোমবার , ১৬ মার্চ ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভূমিহীন পরিবারের ছেলে হলেও মাত্র ক’দিনেই দশ কোটি টাকা সম্পদের মালিক আরডিসি নাজিম

Tito
মার্চ ১৬, ২০২০ ১২:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোতাহার হোসেন, মনিরামপুর থেকে।।
সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে নির্যাতনকারি আরডিসি (সিনিয়র সহকারি কমিশনার-রাজস্ব) নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও শ্বশুরের নামে কোটি টাকার জমি কেনাসহ কয়েক কোটি টাকার বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্ত্রী সাবরিনা সুলতানার নামে যশোরের মনিরামপুর পৌরশহরে ৮শতাংশ জমির উপর ৫-তলা বিশিষ্ঠ বিশাল অট্রালিকা নির্মাণাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে যার চার তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
নাজিম উদ্দীনের মনিরামপুর উপজেলার ১৩নং খানপুর ইউনিয়নের মৃত নিছার আলীর ছেলে। বৈবাহিক সূত্র ধরে উপজেলার কাশিপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকতেন আরডিসি নাজিম উদ্দীনের পিতা নিছার আলী। দরিদ্র পরিবারের সন্তান নাজিম উদ্দীন মেধাবী হওয়ায় লেখাপড়ায় স্থানীয়রা সহযোগিতা করেছেন। তার বাবা দিনমজুর ছিলেন। তার বাবা জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। প্রথমে নিছার আলী টালি ভাটার শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু নানা পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থক হওয়ায় নাজিম উদ্দীনের উপরের উঠার সিঁড়ি পেতে অসুবিধা হয়নি। সরেজমিন কাশিপুর গ্রামে গেলে এসব তথ্য উঠে আসে।
নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার, বাগেরহাট ও মাগুরার মহাম্মদপুরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগসহ এক বৃদ্ধকে টেনে হিচড়ে মারতে মারতে নেয়ার ভিডিও ইতোমধ্যে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মূলতঃ এ্যাসিল্যান্ড থাকাকালিন তিনি ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বিপুল অংকের অর্থ কামানোর অভিযোগ আছে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, মনিরামপুর পৌর এলাকার গাংড়া মৌজায় তার শ্বশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (অবঃ) আব্দুর রাজ্জাকের নামে ৪৬ লাখ টাকায় ১৪.৬৯ শতক জমি কেনা হয়। কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি করার সময় দলিলে সেলামি তোলা হয় ৩০ লাখ টাকা। জমির দত্তা ( সাবেক মালিক) আকবর আলী জানান, স্থানীয় মোসলেম উদ্দীনের মধ্যস্থায় ৪৬ লাখ টাকায় তিনি ওই জমি বিক্রি করেন। যা আব্দুর রাজ্জাকের জামাই ম্যাজিস্ট্রেট নাজিম উদ্দীন কিনেছেন। কিন্তু দলিল করা হয় নাজিম উদ্দীনের শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাকের নামে।
মনিরামপুর মৌজায় ৮ শতক জমি ১৩ লাখ কেনা হয়। যা নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানার নামে রেজিস্ট্রি হলেও সেখানে স্বামীর নাম দিয়ে বাবা আব্দুর রাজ্জাকের নাম দেয়া হয়েছে। এই জমির উপর নির্মাণ করা হচ্ছে ৫-তলা বিশিষ্ট বিশাল অট্টালিকা। ইতোমধ্যে যার ৪-তলা সম্পন্ন হয়েছে।
এসব বিষয়ে নাজিম উদ্দীন দাবি করেন, তার শ্বশুর পেনশনের টাকা দিয়ে গাংড়া মৌজায় জমি কিনেছেন। আর শ্বশুরের কিনে দেয়া স্ত্রীর সাবরিনা সুলতানার নামে ৮ শতক জমির উপর ভবনটি প্রবাসি শ্যালিকা নির্মাণ করছেন। আসলে তার কিছুই নেই বলে তিনি দাবি করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।