ঢাকামঙ্গলবার , ১৭ মার্চ ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুর শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক তিনগুন দামে মুজিববর্ষের লোগো বিক্রির অভিযোগ

Tito
মার্চ ১৭, ২০২০ ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি।।
মনিরামপুরে মুজিববর্ষের লোগোব্যাজ অতিরিক্ত দামে ক্রয় করতে শিক্ষকদের বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ব্যাজ ক্রয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে তিনগুন পর্যন্ত মূল্য। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে এক শ্রেণী শিক্ষক নেতারা মুজিব বর্ষের লোগো ব্যাজ তৈরী ও বিক্রি বানিজ্য করছেন বলে অভিযোগ চাউর হয়েছে। প্রতি ব্যাজের মূল্যবাবদ বাধ্যতামূলক চার’শ ও নয়’শ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।
সূত্রমতে, মুজিব জন্ম শতবর্ষ পালন উপলক্ষে মনিরামপুরের মাধ্যমিক স্তরের এক’শ আশিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে লোগো ব্যাজ বিতরনের সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। স্থানীয় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নেতাদের নিয়ে ব্যাজ তৈরী ও বিক্রির জন্য একটি মৌখিক কমিটি করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তার পছন্দের শিক্ষক নেতাদের দিয়ে কৌশলে এই লোগো ব্যাজ তৈরী ও বিক্রি কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সূত্রমতে, উপজেলার প্রায় দু’শ মাধ্যমিক স্তরের মাদরাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে বিক্রির উদ্দেশ্য মুজিব শত বর্ষের লোগো ব্যাজ তৈরী করা হয়। কোনো প্রকার কোটেশান ছাড়াই পছন্দের লোক দিয়ে এই লোগো ব্যাজ তৈরী করান কতিপয় শিক্ষক নেতা। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির আর্শিবাদপুষ্ট এক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ সকল শিক্ষকদের মূখে মূখে। “তেলিষ্ট” খ্যাত ওই শিক্ষক নেতার কদরও রয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে। মুজিব বর্ষের লোগো ব্যাজ তৈরী ও সকল প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত দরে বাধ্যতামূলক ক্রয়ের ক্ষেত্রের তার সরাসরি প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৩২ ইঞ্চি দৈর্ঘ ও ১৭ ইঞ্চি প্রস্তের একটি লোগো তৈরিতে দুই’শ টাকার মতো খরচ হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠান প্রতি চার’শ ও নয়’শ টাকা ধার্য্য করা হয়। শিক্ষক সমিতি ভুক্ত প্রতিষ্ঠানদের চার’শ এবং সমিতি বর্হিভূতদের জন্য নয়’শ টাকা হারে বাধ্যতামূলক লোগো ক্রয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। পরে সমিতি বহির্ভুত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আপত্তি জানালে এবং বিষয়টি বেশ চাউর হয়ে পড়লে সূচতূর ওই শিক্ষক নেতা শুধুমাত্র চার’শ টাকায় ক্রয় করতে বাধ্য করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান, যেখানেই বানিজ্য, সেখানেই ওই তেলিষ্ট। ক্ষমতাসীন দলের এক জনপ্রতিনিধির কাছের লোক পরিচয় দিয়ে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে খবরদারি করে চলেছেন। দুই’শ টাকা মূল্যের লোগো ব্যাজ, ওই শিক্ষক নেতার পরামর্শে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস চার’শ মূল্যে চাপিয়ে দিচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কিছু শিক্ষক নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি শিক্ষকদের অভিভাবক হলেও কিছুটা নিরুপায়। এসময় তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে একজন শিক্ষক নেতার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
লোগো ব্যাজ তৈরীর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যতম শিক্ষক নেতা গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম বলেন, নয়’শ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্তটা মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ধরা হয়েছিলো, তবে কারো কাছ থেকে এখনও নেওয়া হয়নি। তিনি আরোও বলেন, লোগোব্যাজে কিছু টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে ঠিক, কিন্তু সেটা একটা মানবিক ফান্ড তৈরীর জন্য।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।