সাজেদ রহমান, যশোর।।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের ডালিপাড়া এলাকায় প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় অঞ্চলের অফিসের একটি খনন দল খনন করে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘বৌদ্ধ-বিহার-মন্দির কমপ্লেক্স’ আবিষ্কার করেছে। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২’শ বছর আগের ওই বৌদ্ধ স্থাপনাটি শুধু বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য আবিষ্কার নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকাতেও এত বিস্তৃত ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের বৌদ্ধ স্থাপনা দেখা যায়নি।
প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যশোরের কেশবপুর উপজেলার ওই বিহারের ধ্বংসাবশেষে এমন কিছু ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে, যা বাংলাদেশ এবং ভারতের বিহার, ওড়িশ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য বৌদ্ধ স্থাপনা থেকে আলাদা। অধিদপ্তরের গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অংশে এমন বৈশিষ্ট্যের বৌদ্ধ স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে কি-না, তা জানার চেষ্টা করছেন।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় অঞ্চল কার্যালয়ের দল কেশবপুরের ওই বৌদ্ধবিহার আবিষ্কার করেছে। এ স্থাপনা আনুমানিক ১ হাজার ২’শ বছর আগের। স্থাপনাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মানববসতির বিস্তার ও পরিবর্তন এবং ইতিহাসের ক্ষেত্রে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। খননকাজে যুক্ত ছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক উর্মিলা হাসনাত, মো. রিপন মিয়া, মো. জাহান্দার আলী ও মো. আবদুস সামাদ। খননকাজে বগুড়ার মহাস্থানগড় থেকে আসা দক্ষ শ্রমিকেরা অংশ নেন। মার্চ মাসজুড়ে খননকাজ চলবে।এই ব্যতিক্রমী, অনন্য ও বিরল ‘বৌদ্ধবিহার-মন্দির’ স্থাপনাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মানব বসতির বিস্তার ও পরিবর্তন এবং ইতিহাসের ক্ষেত্রে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ। এরপর বর্ষার কারণে কয়েক মাস বন্ধ থাকবে খননকাজ।