বিশেষ প্রতিনিধি।।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, আসন্ন ঢাকা-১০ আসনসহ তিনটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন যথাসময়ে হবে। আগের নির্বাচনগুলো খুব ভালো পরিবেশে হওয়ার পরও যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কম ছিল, করোনাভাইরাসের কারণে এবার ভোটার উপস্থিতি আরো কম হবে। এটাই ধরে নেওয়া হয়েছে। এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কম থাকবে। আর আইন অনুযায়ী একজনও ভোট দিলে নির্বাচন হবে। আর প্রার্থীদের মধ্যে যিনি বেশি ভোট পাবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন তিনি।
সচিব বলেন, এই নির্বাচন ঘিরে অনেক শ্রম ও টাকা-পয়সা খরচ হয়েছে। নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন নির্বাচন বন্ধ করলে আর্থিক ক্ষতি হবে। তাছাড়া নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করলে ওই সময় আবার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এতে করে অনেক টাকা অপচয় হবে। এসব কথা চিন্তা করেই ভোটের তারিখ না পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া দেশে করোনাভাইরাস এখনো মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েনি বলেই ভোটের তারিখ বদলানোর সিদ্ধান্ত হয়নি।
আলমগীর বলেন, বৈঠকে কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। এই নির্বাচন বন্ধ করলে সুবিধা কী এবং না করলে কী সুবিধা এসব বিবেচনা করে সবমিলিয়ে ২১ মার্চ নির্বাচন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন বন্ধের বিষয়ে কোনো অনুরোধও প্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
তবে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ব্যানারসহ অন্যান্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনি জয়ী হবেন। ভোটার উপস্থিতি কোনো বিষয় নয়।
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরগাট-৪ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।